
মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের গোপালপুর মাঠের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র কালভার্টের মুখ বন্ধ করে মাছ চাষ করায় হুমকিতে শত বিঘা ফসলী জমি। প্রশাসনিকভাবে চাপ সৃষ্টি করায় সাময়িকভাবে কালভার্টের মুখ খুলে দিলেও পূণরায় আটকে দিয়েছেন মৎস্য চাষিরা। এতে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন অত্র এলাকার কৃষকরা। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, গোপালপুর মাঠের প্রায় কয়েকশত বিঘা জমির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। কালভার্টের সম্মুখের জমির মালিক আমজাদ চতুর্দিকে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় পানি নিষ্কাশন বাধা প্রাপ্ত হয়ে বছরের প্রায় ৬ মাস ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে থাকে। ভুক্তভোগী কৃষকরা বাধা সৃষ্টি করলেও মাছ চাষি ক্ষমতাশালী হওয়ায় পেরে উঠছেননা তারা।
ভুক্তভোগী কৃষক জাকারিয়া, স্বপন, মিলন ও হানেফ সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রায় ৪/৫ বছর ধরে আমজাদ তার নিজস্ব ৩ বিঘা জমি যেটা পানি নিষ্কাশনের কালভার্টের মুখে সেই জমির চতুর্পাশে মাটির বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের জন্য ইজারা দিয়েছেন। মাঠের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র কালভার্টটি বন্ধ করে মাছ চাষ করায় হুমকির মুখে পড়েছে শত শত বিঘা ফসলি জমি। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী কৃষকরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানালে সাময়িকভাবে কালভার্টের মুখ খুলে দিয়ে পূণরায় আটকে দিয়েছে বলে জানান। পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৬ মাস শত বিঘা ফসলী জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকে। যার ফলে লাখ লাখ টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা। অবিলম্বে কালভার্টের মুখ খুলে দেওয়ার দাবী জানান তারা।
এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. মিকাইল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply