বাহাদুর চৌধুরী :
সেবাপ্রার্থীদের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছেন না, ঘুষ ছাড়া হচ্ছে না কোনো কাজ
১৩ নং এওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ জনগণ ন্যায্য সেবা পেতে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিযুক্ত এক কর্মকর্তা বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইল নড়ে না—এমন একটি সংস্কৃতি চালু করেছেন তিনি।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, মৃত্যুনিবন্ধন, অনলাইন প্রত্যয়ন পত্রসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সরকারি সেবা পেতে গিয়ে বাধ্য হয়ে ঘুষ দিতে হচ্ছে। অনেকে বলছেন, অতিরিক্ত অর্থ না দিলে দিনের পর দিন তাদের ফাইল আটকে রাখা হচ্ছে। এতে শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন।
কয়েকজন সেবা প্রার্থী ক্ষোভের সাথে জানান:
আমাদের সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের জন্য একাধিকবার গিয়েছি, কিন্তু প্রতিবারই নানা অজুহাতে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। পরে অপারেটর সরাসরি টাকা চেয়েছে। এটা আমাদের জন্য অপমানজনক ও অমানবিক।”
এই চিত্র শুধু একজন বা দুজনের অভিজ্ঞতা নয়। একাধিক সেবা গ্রহীতার অভিযোগ একই রকম। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
উক্ত বিষয় নিয়ে মানবাধিকার সংস্থার কেন্দ্র কমিটির যুগ্ম মহাসচিব চৌধুরী বলেন আমরা এই দুর্নীতি ও হয়রানির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ইউনিয়ন পরিষদ জনগণের নিকটতম সরকারি সেবাকেন্দ্র—যেখানে মানুষ আশার আলো নিয়ে যায়। অথচ এই কেন্দ্র যদি দুর্নীতির অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে, তবে রাষ্ট্রের প্রতি মানুষের আস্থা চরমভাবে ভেঙে পড়ে।
আমাদের দাবি ও অনুরোধ:
১. অবিলম্বে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক, যারা এই অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই করবে।
২. অভিযোগ প্রমাণিত হলে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. ইউনিয়ন পরিষদে সকল ডিজিটাল ও অন্যান্য সেবা পেতে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে ঘুষ ও হয়রানি বিরোধী হটলাইন চালু করা হোক।
৫,সেবাগ্রহীতার অভিযোগ লিপিবদ্ধ করার রেজিস্টার ও মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
জনগণ তাদের করের টাকায় পরিচালিত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ন্যায্য ও সম্মানজনক সেবা প্রত্যাশা করে। আমরা চাই, প্রতিটি নাগরিক যেন হয়রানি ও ঘুষ ছাড়াই তাদের প্রাপ্য সেবা পেতে পারে।
আমরা এওয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউএনও, এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি—এই দুর্নীতির চক্র বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।এদিকে উক্ত বিষয় নিয়ে সরাসরি কর্মকর্তা আলামিনের কাছে প্রশ্ন করলে তিনি সকল বিষয়ে অস্বীকার করেন,
এদিকে উক্ত আলামিনের বিচারের দাবিতে শত শত নর নারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জুতা মিছিল করতে দেখা গেছে,,
আলামিনের দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন মহাসচিব চৌধুরী জেলা প্রশাসকের সাথে সরাসরি কথা বলিলে তিনি আলামিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
Leave a Reply