1. mh01610093622@gmail.com : dainikdakshineroporadh :
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ন
নোটিশ :
ভোলায় বাস ও সিএনজি চলাচল বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে রোগী ও সাধারণ মানুষ খালেদা জিয়া দেশে ফিরলেন পাবনা-কুষ্টিয়া সীমান্তের সীমানা জটিলতায় দুর্ভোগে ১৮ গ্রামের মানুষ ওষুধ কোম্পানির প্রভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা: কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা হাসপাতালে জনভোগান্তির অভিযোগ কুষ্টিয়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে যুবক গ্রেফতার ৫০ লিটার চোরাই মদ আটক করেছে থানা পুলিশ। অভিযুক্ত নুর ইসলামের জামিনের প্রতিবাদে দিঘীনালায় ব্যবসায়ীদের অর্ধদিবস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কালীগঞ্জে কিশোরী উদ্ধারে এসে হামলার শিকার যশোরের তিন পুলিশ সদস্য অসুস্থ গরু কিভাবে কসাইদের হাতে পৌঁছাই কুষ্টিয়ায় চিকিৎসার আড়ালে প্রতারণা? নারী চিকিৎসক শারমিন সুলতানার বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ।
সংবাদ শিরোনাম:
ভোলায় বাস ও সিএনজি চলাচল বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে রোগী ও সাধারণ মানুষ খালেদা জিয়া দেশে ফিরলেন পাবনা-কুষ্টিয়া সীমান্তের সীমানা জটিলতায় দুর্ভোগে ১৮ গ্রামের মানুষ ওষুধ কোম্পানির প্রভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা: কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা হাসপাতালে জনভোগান্তির অভিযোগ কুষ্টিয়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে যুবক গ্রেফতার ৫০ লিটার চোরাই মদ আটক করেছে থানা পুলিশ। অভিযুক্ত নুর ইসলামের জামিনের প্রতিবাদে দিঘীনালায় ব্যবসায়ীদের অর্ধদিবস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কালীগঞ্জে কিশোরী উদ্ধারে এসে হামলার শিকার যশোরের তিন পুলিশ সদস্য অসুস্থ গরু কিভাবে কসাইদের হাতে পৌঁছাই কুষ্টিয়ায় চিকিৎসার আড়ালে প্রতারণা? নারী চিকিৎসক শারমিন সুলতানার বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ।

পাবনা-কুষ্টিয়া সীমান্তের সীমানা জটিলতায় দুর্ভোগে ১৮ গ্রামের মানুষ

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫
  • ৩৭ বার ভিউ

মিজানুর রহমান মজনু
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি

পাবনা-কুষ্টিয়ার জেলার সীমানা ভাগের জটিলতায় দুই জেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের ১৮ গ্রামবাসী যুগ যুগ ধরে নানা দুর্ভোগ ও দুঃখ-কষ্টে দিনযাপন করছেন। তাদের না আছে ভালো রাস্তা, না আছে নাগরিক সুবিধা। কাগজ-কলমে এক জেলার বাসিন্দা হলেও হাটবাজার, শিক্ষা, চিকিৎসা ও দৈনন্দিন জীবন- যাপন করতে হয় অন্য জেলায়। সীমানা ভাগাভাগিতে কুষ্টিয়ার ১১ গ্রাম পদ্মার এপারের পাবনা সদর উপজেলার সঙ্গে আর পাবনার ৭টি গ্রাম পদ্মার ওপারে কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার সীমান্ত এলাকার মধ্যে। এসব গ্রামবাসীকে নানা দুর্ভোগে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে নিজ জেলা ও উপজেলা সদরে এসে থানা কোর্ট-কাচারি ও ভূমি সেবা নিতে হচ্ছে। শহর থেকে প্রত্যন্ত চরে যাতায়াতের বিড়ম্বনা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততায় দুই জেলার ১৮ গ্রামের উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষ এখন তাদের দুর্ভোগের সমাধান চান। তারা সংকট অবসানে নিকটস্থ জেলায় অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলছেন।
পাবনা-কুষ্টিয়া সীমানা ভাগের সময় অদ্ভুতভাবে ভূমি বণ্টন হয়েছে। পাবনা শহরের অতিনিকটে কুষ্টিয়ার ভূখণ্ড। আবার কয়েকশ গজ দূরে পাবনার ভূখণ্ড-। আবার পদ্মার ওপারে কুষ্টিয়াতেও রয়েছে পাবনার ভূখণ্ড-। এই এলোমেলো ভূখণ্ডে যারা বসবাস করছেন তারা যেন নিজভূমে পরবাসী। পাবনা সদর উপজেলার গা ঘেঁষে কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়ন। এখান থেকে পাবনা শহরের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। আর উপজেলা সদর কুমারখালি প্রায় ১৭ কিলোমিটার, কুষ্টিয়া শহর ২৯ কিলোমিটার। উত্তর ও পশ্চিমে পাবনার হেমায়েতপুর ও সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়ন।
১৯৯৮ সালে গঠিত প্রায় ২৫ বর্গমাইল চরসাদীপুর ইউনিয়নের আরোয়াবান্ধা, গোবিন্দপুর, সাদিপুর, ঘোষপুর, চুলকানিরহাট, কাদেরহাট, ভবানীপুরসহ ৯ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। চরসাদীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামবাসী পাবনা সদরের হেমায়েতপুরের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করেন। চর সাদিপুরের বাসিন্দারা জেলা উপজেলায় যাতায়াত করেন ৬ কিলোমিটার পদ্মা পাড়ি দিয়ে। বর্ষা মৌসুমে ইঞ্জিনচালিত নৌকাতে পদ্মা পাড়ি দিতে হয়।
শুষ্ক মৌসুমে নদীর অধিকাংশ চর জেগে উঠায় ইজিবাইক, বাইসাইকেল মোটরসাইকেল ও নৌকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত অর্থ ও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ইউনিয়ন বাসিন্দাদের হাট-বাজার, শিক্ষা, চিকিৎসা সবই পাবনা শহরের ওপর নির্ভরশীল। তেমনি পাবনার সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের চরভবানীপুর, খাসচর, কণ্ঠবজরা, ধাবড়াকোল, বলরামপুর ও দোগাছি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চরভবানীপুর ও খাসচর ধোবড়াকোল গ্রাম পদ্মার ওপারে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালির নিকটে অবস্থিত। দোগাছির ৯ নং ওয়ার্ডের গ্রাম ২টিতে আড়াই হাজার ভোটারের বসবাস। পাবনার ৭টি গ্রামের বাসিন্দারা হাটবাজার চিকিৎসাসহ দৈনন্দিন জীবন-যাপন সবই কুমারখালি ও কুষ্টিয়া শহরের ওপর নির্ভরশীল।
শুধুমাত্র জমির কাগজপত্র, থানা কাছারিতে পাবনা শহরে আসতে হচ্ছে। যেদিন জেলা শহরে আসতে হয় তার আগে তাদের চোখের ঘুম হারিয়ে যায়। এ ৭টি গ্রামের বাসিন্দাদের কয়েক কিলোমিটার দূরের শিলাইদহ ঘাটে এসে খেয়া নৌকা পাড়ি দিয়ে পাবনা শহরে আসতে হয়। বর্ষায় সমস্যা না হলেও শুষ্ক মৌসুমে তাদের অনেক দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। শহর থেকে প্রত্যন্ত চরে বসবাস করায় তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। চরের প্রত্যন্ত এলাকায় রাস্তাঘাটের তেমন উন্নয়ন হয়নি। এসব গ্রামের অধিবাসীরা হাট-বাজার ব্যবসা বাণিজ্য সহ দৈনন্দিন কর্মকা-ে কুমারখালি ও কুষ্টিয়া শহরের ওপর নির্ভরশীল।
পাবনা সদর উপজেলার ভাড়েরা ইউপি সচিব সেলিম উদ্দিন জানান, ভাড়েরা ইউনিয়নের পদ্মা নদী পারের প্রত্যন্ত ৭টি গ্রামের অধিবাসীরা নানা প্রতিকূলতায় বসবাস করছে। তাদের ইউপি কার্যালয় বা জেলার কোর্ট-কাছারিতে সেবা নিতে হলে পদ্মা পাড়ি দিয়ে আসতে হচ্ছে। যা সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ হওয়ায় দরিদ্রদের পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।
কুষ্টিয়ার চরসাদিপুর পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের প্রধান সড়কের রাস্তার ইট-খোয়ার কোনো অস্তিত্ব নেই। প্রতিদিন পদ্মা থেকে বালু মাটির ট্রাক রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় ইট-সুরকি বিলীন হয়ে কাঁচা রাস্তায় রূপ নিয়েছে। রাস্তায় ধুলার স্তর পরায় এটি যে পাকা রাস্তা তাও বোঝা যায় না। রাস্তাটি খানা-খন্দে এমনই অবস্থা একটু অসতর্ক হলেই যেন মারাত্মক বিপদের সংশয় সৃষ্টি করছে।
সাদিপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেল বড় একটি খালের ওপর একটি সেতু থাকলেও সংযোগ সড়ক নেই। যদিও যোগাযোগে খালটি গ্রামকে দুইভাগে ভাগ করেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে খালের ওপর সেতু নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক আজও হয়নি। তাই সেতুটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সেতুর দুইপাশের ১০ গ্রামের বাসিন্দা পানি মাড়িয়ে খাল পারাপার হচ্ছেন। দীর্ঘকাল এভাবে চললেও কেউ যেন দেখার নেই। চরসাদিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাস্তাঘাটের এমন দুর্বিষহ অবস্থায় গ্রামে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ আসতে চায় না। এখানে চায়ের দোকানে কথা হয় রমজান আলী, হামিদ, লোকমান আর সুরুজ আলীর সঙ্গে। তারা উপজেলা কুমারখালি ও জেলা শহর কুষ্টিয়ায় যাতায়াতে তাদের চরম দুর্ভোগের কথা জানান। তারা আরো বললেন, সীমানা জটিলতা নিরসনে বিগত সরকার আমলে কুষ্টিয়ায় দুই জেলার ডিসিদের নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বড় কর্মকর্তারা বৈঠক করলেও আজও সমাধা হয়নি।
তাদের দাবি, নিকটের জেলার সঙ্গে তাদের অন্তর্ভুক্তি করা হোক। সাদিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদর উদ্দিন শিক্ষার্থীদের বড় সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন, এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র নদীর ওপারে তাই সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছানো সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া করে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। তা ব্যয়বহুল হওয়ায় এলাকার শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে অধিকাংশই পাবনার স্কুলে চলে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই পাবনার ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, কুমারখালী কুষ্টিয়ার বাসিন্দা হয়েও এখানে অনেক মানুষ আছেন যারা পদ্মা পাড়ি দিয়ে আজও নিজ উপজেলা জেলা শহরের মুখ দেখেননি। এখানকার সবকিছুই পাবনা শহরের ওপর নির্ভর করতে হয়। সম্প্রতি সরেজমিন চরসাদিপুর পদ্মার ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর কোথায় পানি, কোথায় ঘাট।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com