মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
কুষ্টিয়ায়,চিকিৎসা পেশাকে পুঁজি করে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার আলোচিত নারী চিকিৎসক ডা.শারমিন সুলতানার বিরুদ্ধে।
সর্বশেষ অভিযোগে, ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন— তিনি তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা ও ভুয়া বিনিয়োগের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগীদের চোখে জল,মুখে ক্ষোভ ছালমা খাতুন নামের এক ভুক্তভোগী বলেন,শারমিন ম্যাডাম প্রথমে আমাকে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। বিশ্বাস করে আমি প্রায় ১০ লাখ টাকা দিই। এরপর থেকে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
একইভাবে, শহরের চৌড়হাস এলাকার আরেক নারী বলেন,তিনি নিজের চিকিৎসা চেম্বারকে এমনভাবে সাজিয়েছিলেন যেন তার প্রতি সন্দেহ করার কোনো সুযোগই না থাকে। অথচ পরে বুঝলাম, সবটাই ছিল সাজানো প্রতারণা।
স্থানীয়রা জানান,শারমিন সুলতানা দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ‘বিশেষজ্ঞ’ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও তা কখনো প্রকাশ্যে আসেনি। এ ঘটনার পর অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান,অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানবতার পেশাকে কলঙ্কিত করার অভিযোগ একজন চিকিৎসক, যিনি সমাজের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হবার কথা, তিনি যদি মানুষের বিশ্বাস ভেঙে অর্থ আত্মসাৎ করেন, তবে তা পুরো পেশার জন্যই কলঙ্কজনক। এই ঘটনা শুধু শারমিন সুলতানার নয়, এটি প্রশ্ন তোলে আমাদের ব্যবস্থার জবাবদিহিতা ও নজরদারির ওপর।
ভুক্তভোগীরা এখন চান ন্যায়বিচার ও হারানো অর্থের প্রতিকার। প্রশাসনের কাছে তাদের একটাই দাবি— এমন প্রতারক যেন আর কারও জীবনের সঞ্চয় হরণ করতে না পারে। কুষ্টিয়ার সাধারণ মানুষের একটাই আহ্বান: প্রতারণার মুখোশ খুলে দোষীদের বিচারের আওতায় আনুন।
Leave a Reply