নিজস্ব প্রতিবেদন
বাহাদুর চৌধুরী, চরফ্যাশন (ভোলা)
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সূত্রপাত, হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধকে কেন্দ্র করে। স্থানীয় হেনা ওরফে খাদিজা (স্বামী দপ্তরি ভাদাইমা নূর ইসলাম), জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের অভিযোগে পরিচিত কবিদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী পলি চৌধুরী গং মিলে দুই সাংবাদিকসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে সিআর ২১৩/২৫ নম্বরের একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
গণমাধ্যমকর্মীদের দাবি, দাখিলকৃত অভিযোগপত্র সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, সাজানো ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি করা হয়েছে। এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাধারণ নাগরিকের অধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানা যায়, চরফ্যাশন উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৮ ধারায় ২৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে একটি সমন জারি করেন। সমনে উল্লেখ ছিল, সাংবাদিক ইঞ্জিনিয়ার আল-আমিন চৌধুরী ও লিপি বেগমসহ অভিযুক্তদের ৩০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে আদালতে উপস্থিত হতে হবে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে উত্তর প্রদান করতে হবে।
কিন্তু সমন জারির নোটিশ যথাসময়ে না পৌঁছে ১ মে ২০২৫ তারিখে, আদালতে হাজির হওয়ার নির্ধারিত তারিখের পর, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে তা আসামিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্ন —
“সমন যথাসময়ে সরবরাহ না করে, পরে ইচ্ছাকৃতভাবে দেয়া — কি এটা আদালত ও প্রশাসনিক দুর্নীতির প্রমাণ নয়? পরিকল্পিতভাবে হয়রানির নকশা নয়?”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের অনিয়ম বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করে। উদ্দেশ্য ছিল নির্ধারিত দিনে হাজিরা দিতে না পারার অজুহাতে পরবর্তী সময়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিষয়টি ভোলা জেলা প্রশাসক, চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতির সুস্পষ্ট নজরে আনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ঘটনার বিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক ও চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত ও বিচার প্রত্যাশা করছে সাধারণ মানুষ।
Leave a Reply