মোঃ অনিকুল ইসলাম উজ্জ্বল
টুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় সবুজ মৃধা (৩০) নামের এক যুবকের এলোপাতাড়ি দা’র কোপে সাফায়েত হোসেন (৮) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। একই ঘটনায় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ আরও অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের মৃধা বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু সাফায়েত স্থানীয় জামাল হোসেনের ছেলে।
আহতরা হলেন: মইন হাসান (৮), বাবুল সরদার (৪৭), পঞ্চমালী সরদার (৪৭), নাছিমা (৩২) ও মরিয়ম বেগম (২৮)। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে দা হাতে সবুজ মৃধা গ্রামের একটি বাড়ির উঠানে ঢুকে পড়ে। এরপর সামনে যাকে পেয়েছে, তাকেই এলোপাতাড়ি কুপাতে শুরু করে। এতে ছয়জন আহত হন।
স্থানীয়রা সবুজকে থামানোর চেষ্টা করলে তিনি দৌড়ে গিয়ে একটি উঁচু গাছের মগডালে উঠে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তাকে গাছ থেকে নামিয়ে আটক করে।
আহতদের প্রথমে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাফায়েত, মুইন ও মরিয়মকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে বরিশালে নেওয়ার পথে বাউফলের বগা এলাকায় সাফায়েত মারা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা কবির চৌকিদার জানান, সবুজ মৃধা ওরফে মনির দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত এবং মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি বলেন, “কখন কী করে, বোঝা যায় না। আজও সে হঠাৎই কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করে।”
দশমিনা ফায়ার সার্ভিসের অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন জানান, সবুজকে উদ্ধারে প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টা চালাতে হয়। তিনি বলেন, “প্রথমে চারটি গাছ কেটে ফেলতে হলেও সবুজ পরে আরেকটি উঁচু গাছের মগডালে উঠে পড়ে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।”
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম জানান, অভিযুক্ত সবুজকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply