মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
কুষ্টিয়ার প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক রফিকুল্লাহ কালবীর ওপর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে কুষ্টিয়ার ডিসি কোর্ট চত্বরে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক। স্মারকলিপিতে বলা হয়— সাংবাদিক রফিকুল্লাহ কালবির ওপর চালানো এই হামলা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর হামলা নয়, এটি সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত। এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা কুষ্টিয়া তথা দেশের মুক্তচিন্তার পরিমণ্ডলের জন্য গভীর হুমকির ইঙ্গিত বহন করছে।
স্মারকলিপিতে সাংবাদিকরা বলেন,,প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে সংঘটিত এই অমানবিক ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সাংবাদিক ও লেখকদের নিরাপত্তা বিধানে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
স্মারকলিপিতে উত্থাপিত প্রধান দাবিসমূহ হলো:১. সাংবাদিক রফিকুল্লাহ কালবীর ওপর হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনা।২. রাজনৈতিক বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব খাটিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করা। ৩. সাংবাদিক ও লেখকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ। ৪. কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের কর্মকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের প্রশাসনিকভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা। ৫. দৈনিক খবরওয়ালা ও সত্য খবর পত্রিকার ঘোষণাপত্র (ডিক্লারেশন) বাতিলের দাবি। ৬. Voice of Kushtia নামের অনলাইন পেজটি বন্ধের দাবি। ৭. কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন— এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন— সাংবাদিক হাসান আলী, মো. আমিন, এনামুল হক ও শাহ আলম রেজা প্রমুখ।
সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখেই তারা এই স্মারকলিপি দিয়েছেন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হলে গণমাধ্যম কর্মীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
Leave a Reply