চরফ্যাশন, ভোলা:২/১০/২০২৫
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন) আসনকে ঘিরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মাঠ ইতিমধ্যে গরম হতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক নেতাদের মতে, এই আসনটি বরাবরই বিএনপির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
এই আসন থেকে ইতোমধ্যে বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিমউদ্দিন আলম ও যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা নয়ন সাহেবের মতো পরিচিত মুখগুলোকে ঘিরে আলোচনা চলমান রয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন এক নতুন মুখ—সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া, যিনি নিজেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে সক্রিয় করতে শুরু করেছেন।
আজ আনুমানিক পাঁচটার সময় হাজারী গঞ্জ ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চক্ষু ডাক্তার নিয়ে চঁশমা বিতরণীতে দেখা গেছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে এডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক ?
চরফ্যাশন উপজেলার দুলহার বাজার সংলগ্ন হাসপাতাল রোডের স্থায়ী বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ঢাকায় ও বিদেশে পেশাগত জীবন কাটালেও এবার নিজ এলাকায় ফিরে জনসেবার লক্ষ্যেই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালাতে দেখা যায় তাকে, যেখানে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা করছেন, মতবিনিময় করছেন এবং এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন।
প্রচারণার সময় তার সঙ্গে কিছু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী দেখা যাওয়ায় এলাকায় বিষয়টি নিয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। অনেকেই বিষয়টিকে ব্যতিক্রমী বললেও, কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন – একজন নবাগত প্রার্থীর এতো নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু যৌক্তিক?
এ প্রসঙ্গে এক স্থানীয় ভোটার জানান,
“মানুষের ভালবাসা যার সাথে থাকে, তাকে আলাদা নিরাপত্তা নিতে হয় না। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিরাপত্তার চাহিদা থাকতেই পারে।”
সিদ্দিক মোল্লার ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে, কিছু পূর্ব অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত কারণে তিনি এই নিরাপত্তা গ্রহণে বাধ্য হয়েছেন, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।
যেখানে একদিকে দলের অভিজ্ঞ নেতৃবৃন্দ নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেখানে নতুন প্রার্থীদের মাঠে থাকা দলীয় গণতন্ত্রেরই অংশ। এডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া নিজেও একাধিক জায়গায় জানিয়েছেন যে,
আমি কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছি না। আমি জনগণের জন্য কাজ করতে চাই, পার্টির সিদ্ধান্তই আমার চূড়ান্ত অবস্থান নির্ধারণ করবে।”
এ বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, তিনি নিজেকে ‘প্রার্থী’ হিসেবে তুলে ধরলেও শেষ কথা বলবে দলীয় মনোনয়ন বোর্ড।
চরফ্যাশনের সচেতন জনগণ চায় পরিচিত মুখ হোক বা নতুন, সকল প্রার্থী যেন মানুষের সাথে মিশে, জনসংযোগ বাড়িয়ে, এলাকার উন্নয়নে বাস্তব পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসে। শুধু ব্যক্তিগত ব্যাকগ্রাউন্ড নয়, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাই হবে ভোটের মূল বিবেচ্য।
✍️ প্রতিবেদন: সাংবাদিকতার নীতিগত অবস্থান:
“আমরা কারও পক্ষে নই, বিপক্ষে নই—আমরা শুধু জনগণের সত্য তুলে ধরি।”
Leave a Reply