মোঃ বাহাদুর চৌধুরী
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে লালু ডাকাত ও তার সহযোগীদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন,দীর্ঘদিন ধরে লালু ডাকাত সন্ত্রাস, ভয়ভীতি ও মারধরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৃষ্টিধর গুহ নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার পর ভাসমান গৃহহীন মানুষের জন্য তৈরি হওয়া আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা সেলিম মাঝিকে (পিতা: মৃত আব্দুর রহিম) গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১২টার দিকে লালু ডাকাত, নেসার উদ্দিনসহ প্রকাশ্যে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি কাজল পাটোয়ারীসহ ৩–৪ জন এলাকাবাসী।
মারধরের পর গুরুতর আহত সেলিম মাঝিকে স্থানীয় রাজিব পাটোয়ারী উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রায় ১০ দিন আগে লালু ডাকাত আদর্শ গ্রামের কানন নামের এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন। বনিবনা না হওয়ায় ওই নারী স্বেচ্ছায় তাকে ডিভোর্স দেন। এ নিয়ে লালু ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
গতকাল দুপুরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লালু সেলিম মাঝির বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী ও ১৩ বছরের কন্যাকে ধর্ষণের হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সেলিম মাঝি ও তার স্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হলে এক পর্যায়ে সেলিম মাঝির স্ত্রীকে মারধর করা হয়। তাই সেলিম মাঝি ও তার স্ত্রী মিলে তাকে আটক করে পরে লালুর মা এসে সমঝোতার আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন।
কিন্তু একই রাতেই সেলিম মাঝি নদীতে যাওয়ার পথে লালুর বাড়ির সামনে ফের তার উপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। সেলিম মাঝির দাবি, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ডিউটি অফিসার আগে চিকিৎসা নিতে বলেন। ফলে আতঙ্কে তিনি ও তার পরিবার এখন প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন।
Leave a Reply