মো রাজিব হাসান রাজু
ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার: ডিজিটাল অপরাধের স্পষ্ট নমুনা
সম্প্রতি চরফ্যাশন উপজেলার সম্মানিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিরুদ্ধে অস্তিত্বহীন ও ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি ইতোমধ্যেই সচেতন নাগরিকদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ অনুযায়ী, এই ধরনের কর্মকাণ্ড একেবারেই বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য। বিশেষ করে: ধারা ২৫ (১) (খ)
“যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা বা মানহানিকর তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ করে, যাতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মানহানি হয় — তবে এটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।”
ধারা ২৯ (১)”কোনো ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করলে, সেই ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানায় দণ্ডিত হবেন।”
এই আইনের ভিত্তিতে ভুয়া আইডি চালিয়ে অপপ্রচার চালানো ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য ও জরুরি।
জানা গেছে, উক্ত ইউএনও একজন সৎ, দক্ষ এবং মানবিক দায়িত্ববোধসম্পন্ন কর্মকর্তা।
তিনি চরফ্যাশন উপজেলায় দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি দমন এবং জনসেবার মান বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে ঠিকাদারী গ্রুপিং: সুবিধাবাদীদের ফাঁদে প্রশাসন টানা চলেছে-
চরফ্যাশনের বর্তমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কয়েকটি ঠিকাদার গ্রুপের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে।
একটি পক্ষ সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী কাজ পেয়েছে,
আরেকটি পক্ষ কাজ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে এবং প্রতিহিংসাবশত ইউএনও বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে।
এটি শুধু প্রশাসনের বিরুদ্ধে নয়, জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল। কারণ সরকারি কর্মকর্তা কাউকে ‘কাজ না দেওয়ার’ জন্য দায়ী হন না — বরং সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ী যিনি যোগ্য, তাকেই দায়িত্ব প্রদান করেন।
এদিকে উক্ত অপপ্রচার নিয়ে চরফ্যাশনের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ইতোমধ্যেই এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সাংবাদিক, শিক্ষক, তরুণ সমাজকর্মী এবং প্রশাসনিক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা এই ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র বিরোধিতা করেছেন।
তাদের দাবি, এ ধরনের গুজব ছড়ানোকারীদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী উদাহরণমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
এদিকে উক্ত অপপ্রচারটি ঢাকা প্রেসক্লাবের নজরে আসলে, ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে কারো সম্মানহানি করা শুধু অন্যায় নয়, এটি একটি মারাত্মক অপরাধ।
প্রশাসনের কাজে বাধা সৃষ্টি, নিরপেক্ষ কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগতভাবে টেনে আনা, সৎ কর্মকর্তার মানহানি — এই কাজগুলো রাষ্ট্রবিরোধী প্রবণতা হিসেবেই গণ্য করা উচিত।
Leave a Reply