মোঃ রাজিব হাসান রাজু
দৈনিক দক্ষিণের অপরাধ সংবাদ
ডিজিটাল যুগে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে ইউটিউব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। সৃজনশীলতা, দক্ষতা ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে ইউটিউব কনটেন্ট নির্মাতারা শুধু নিজেদের স্বাবলম্বী করছেন না, দেশের অর্থনীতিতেও যোগ করছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
বাংলাদেশে বর্তমানে লক্ষাধিক ইউটিউবার সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। প্রযুক্তি, শিক্ষা, রান্না, ভ্রমণ, গেমিং, কমেডি ও লাইফস্টাইলসহ নানা বিষয়ে তারা কনটেন্ট তৈরি করছেন। গুগল অ্যাডসেন্স, ব্র্যান্ড প্রোমোশন ও স্পনসরশিপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আসছে দেশে।
শুধু ইউটিউবাররাই নয়, তাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন ভিডিও এডিটর, গ্রাফিক ডিজাইনার, ফটোগ্রাফার ও কনটেন্ট রিসার্চাররা। ফলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। অনেক তরুণ বেকারত্ব দূর করে পরিবারকে সহযোগিতা করছেন।
বাংলাদেশি কনটেন্ট বিশ্বব্যাপী দর্শক পাচ্ছে। বিদেশ থেকে বিজ্ঞাপন আয়ের ফলে ডলার দেশে আসছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি রপ্তানির বাইরে নতুন আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করছে।
ইউটিউব তরুণদের সৃজনশীলতা ও নতুন দক্ষতা অর্জনে উৎসাহ দিচ্ছে। অনেকেই প্রযুক্তি শিক্ষা, ভাষা শিক্ষা কিংবা ছোট ব্যবসার প্রচারণা ইউটিউবের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।
যদিও সম্ভাবনা বিপুল, তবে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। অনেকে মানহীন কনটেন্ট তৈরি করছেন, যা দীর্ঘমেয়াদে আয়ের পথে বাধা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কনটেন্টের মান বৃদ্ধি, ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সরকারি সহায়তা এই খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।
সব মিলিয়ে, ইউটিউব শুধু বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এক সম্ভাবনাময় আয়ের খাত হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও নীতিগত সহায়তা পেলে এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
Leave a Reply