মেহেদী হাসান হৃদয়,,
মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় তরুণ প্রজন্মের একটি অংশ দ্রুত অর্থ আয়ের আশায় এসব অবৈধ কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষতি যেমন বাড়ছে, তেমনি সামাজিক অস্থিরতার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, অনলাইন ক্যাসিনো, বেটিং সাইট ও বিভিন্ন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। এসব প্ল্যাটফর্মের অনেকগুলোই বিদেশি সার্ভার থেকে পরিচালিত হওয়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন অভিযানে অনলাইন জুয়া চক্রের সঙ্গে জড়িত বহুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সহজে টাকা আয়ের আশায় তরুণরা এ ফাঁদে পড়ছে, আর একবার জুয়ার অভ্যাস তৈরি হলে তা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে পরিবারে অশান্তি, শিক্ষাজীবনে ব্যাঘাত এবং আর্থিক দেউলিয়াত্বের ঘটনা বাড়ছে।
সরকারি নীতিনির্ধারকরা স্বীকার করেছেন যে, অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এ জন্য কেবল আইন প্রয়োগ নয়, সচেতনতামূলক প্রচারণা এবং প্রযুক্তিগত নজরদারি জোরদার করার কথাও তারা বলছেন।
জনগণের দাবি, তরুণ সমাজকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করতে সরকার ও অভিভাবকদের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। অনলাইন জুয়ার আসক্তি শুধু ব্যক্তিকে নয়, পুরো সমাজকেই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
Leave a Reply