মোঃ অনিকুল ইসলাম উজ্জ্বল, স্টাফ রিপোর্টার | কলাপাড়া, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক নবজাতকের বাম পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক হলেন ক্লিনিকটির চেয়ারম্যান ডা. পার্থ সমদ্দার।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে মিম বেগম (স্বামী: রফিকুল ইসলাম) ভর্তি হন জমজম ক্লিনিকে। পরে সেদিন রাতেই তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা. পার্থ সমদ্দার।
অপারেশনের কিছুক্ষণ পরই নবজাতকের পায়ে একটি ইনজেকশন পুশ করা হয় ‘টিকার’ কথা বলে। পরদিন সকাল থেকেই শিশুটির বাম পা অস্বাভাবিকভাবে ফুলে ওঠে এবং অতিরিক্ত কান্না শুরু করে।
শিশুর স্বজনরা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসককে জানালে, তারা তা গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো দুর্ব্যবহার শুরু করেন। অভিযোগ উঠেছে, রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্বজনদের ক্লিনিক থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয় এবং তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয়।
পরবর্তীতে নবজাতকের পরিবার তাকে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে এক্স-রে করার পর নিশ্চিত হওয়া যায়, সিজারের সময়ই শিশুটির বাম পা ভেঙে গেছে।
এই ঘটনায় ডা. পার্থ সমদ্দারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিজারের সময় পা ভাঙার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, “এখন পর্যন্ত লিখিতভাবে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Leave a Reply