দৈনিক দক্ষিণের অপরাধ সংবাদ
বিশেষ প্রতিনিধি
মোঃ শাহিন হাওলাদার
১৫ দিন আগে ফেসবুক লাইভে শত্রুতার কথা বলেছিলেন নুরুল আমিন। আজ সেই নুরুল আমিন— দৈনিক প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার উখিয়া থানা প্রতিনিধি—নিথর দেহে পরিণত! এই মৃত্যুর আড়ালে লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য।
গতরাতে গাড়িতে করে কক্সবাজার পৌঁছে, সকালে সৈকতের ঝাউগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল বালুখালীর মৃত জুনু মিয়ার সন্তান নুরুল আমিনের নিথর দেহ। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি করতেন। পাশাপাশি লেখালেখি করতেন এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ফেসবুকে ছিলেন বেশ সক্রিয়। স্থানীয়রা জানান, নুরুল আমিন ছিলেন প্রতিবাদী স্বভাবের, মানুষের দুঃসময়ে সবসময় এগিয়ে আসতেন। তবে তার সঙ্গে কারও বড় ধরনের শত্রুতা ছিল, এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, যে বিষয়টি আরও রহস্যজনক তা হলো—যারা নুরুল আমিনকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তারাই এখনো তার মুঠোফোন ব্যবহার করছে। তার মৃত্যুর পরও দেখা গেছে, তার ফেসবুক আইডি সর্বশেষ ৫৫ মিনিট আগে অ্যাকটিভ ছিল। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়, খুনিচক্র তার ব্যবহৃত ফোন নিজেদের দখলে রেখেছে।
এমন একজন প্রতিবাদী সাংবাদিকের মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দাবি জানাই—নুরুল আমিনের মৃত্যুর রহস্য দ্রুত উদঘাটন করা হোক এবং খুনিচক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক, যেন পর্যটন শহর কক্সবাজার নিরাপদ থাকে।
Leave a Reply