ভেড়ামারা উপজেলা প্রতিনিধি,,-
কিষ্টিয়ানজেলার ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কতিপয় ডাক্তাররা ফিঙ্গার দিয়ে ডিউটিতে থেকেও বাহিরে চেম্বার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা যথাসময়ে হাসপাতালে যান না এবং যথাসময়ের পূর্বেই তাদের কে হাসপাতাল ত্যাগেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের কাজের ফাঁকে বাহিরে গিয়ে ও চেম্বার করার অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে ঐতিহ্যবাহী হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ কে রেখে কতিপয় ডাক্তার তাদের মনোনীত ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ পাঠান। অন্য ডায়াগনস্টিক থেকে রিপোর্ট করালে তারা রিপোর্ট দেখতে চাননা বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুকুর আলী নামে এক ব্যক্তি জানান ডাক্তাররা ডায়াগনস্টিক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় তারা হাসপাতালের রুগীদের কে তাদের সেন্টার মুখী করতে এই প্রচেষ্টা।
জরুরী বিভাগে চলে চরম সিন্ডিকেট। রুগীদের থেকে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগের শেষ নেই।
পুষ্কর নামে এক রুগী বলেন, কথায় বলে পুলিশের বৌ নাকি দারোগা হয় ঠিক তেমনি হাসপাতালের নার্সরা ডাক্তারের চেয়েও লর্ড। একদিকে তাদের বাজে আচরণ অপরদিকে কেনুলা, স্যালাইন সব তাদের রুম থেকে করে আসতে হয় নতুবা তাদের রক্তচক্ষু দেখতে হয়। কিছু বললে বাহিরে ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এখানেই শেষ নয়, ঝাড়ুদার কে ও এখন নার্সের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। ইনজেকশন পুশ থেকে অনেক কিছু করে তারা।
নোংরা ময়লার কথা নাইবা বললাম।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি –
১. ঝাড়ুদার কি করে নার্সদের মত ইনজেকশন পুশথেকে সব কাজ করে?
২. ডাক্তাররা কি করে যথা সময়ে ডিউটিতে উপস্থিত হয়না এবং ডিউটির শেষ সময় না হতেই হাসপাতাল ত্যাগ করেন? ৩. হাসপাতালের নিজস্ব ল্যাব থাকার পরও কি করে হরহামেশাই টেস্ট করতে বাহিরে তাদের মনোনীত ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ রুগীদের কে প্রেরণ করেন?
৪. জরুরী বিভাবে সাহায্যকারী ব্যক্তিরা রুগীদের থেকে উৎকোচ নেই কেন?
৫. ইসিজি মেশিন থাকতেও বাহিরের মেশিন কেন আনতে হয় বা রুগী বাহিরে পাঠাতে হয়?
ইত্যাদি এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে। বিধায় তদন্ত সাপেক্ষ উক্ত বিষয় গুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর সুপারিশ জানাচ্ছি।
Leave a Reply