খুলনা জেলা প্রতিনিধ
মোঃ শাহিন হাওলাদার
পতেঙ্গা টার্মিনাল (ফাইল ছবি)
চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে পণ্য খালাসে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ১ দিনের কনটেইনার ২ দিনেও কিপডাউন হচ্ছে না। এমন অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা। অথচ বিদেশি প্রতিষ্ঠান রেড সিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, যাতে আধুনিক পদ্ধতিতে দ্রুত পণ্য খালাস হয়। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে এর উল্টো।
এই বন্দরটির দৈনিক ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের এক হাজার ৩৬৯টি কনটেইনার পরিচালনা করার ক্ষমতা থাকলেও বাস্তবে হচ্ছে ২০০টিরও কম। অর্থাৎ সক্ষমতার মাত্র ১২ শতাংশ কাজ হচ্ছে। অথচ এটি পুরোদমে চালু হলে প্রতিবছর প্রায় ৩০০ কোটি টাকার রাজস্ব পেত সরকার।
গত ১০ মাসের কনটেইনার পরিচালনা চিত্রে দেখা যায়, গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৫২ হাজার ২৯টি কনটেইনার লোড-আনলোড করেছে এ প্রতিষ্ঠান।
এর মধ্যে জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিমাসে গড়ে ছিলো ৩ থেকে ৬ হাজার ।
-এ বছরের জানুয়ারিতে ৫২২১, ফেব্রুয়ারিতে ৫৫৪৮, মার্চে ৬৯৭৮ টি।
আর এপ্রিলের ২৬ তারিখ পর্যন্ত লোড-আনলোড হয়েছে মাত্র ৩৪৬৪টি কনটেইনার।
তথ্য বলছে, প্রতিমাসে গড়ে যেখানে ৪১ হাজার ১৮৯ টিইইউএস লোড-আনলোড হওয়ার কথা, সেখানে বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ১২ শতাংশ কাজ করতে পেরেছে। অর্থাৎ জেটি পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া সৌদির প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল বা আরএসজিটিআই গত ১০ মাসেও লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ধীরগতির কারণে তাদের খরচ ও সময় দুটোই বাড়ছে। সেই সঙ্গে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
এদিকে যে উদ্দেশ্যে বিদেশি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা যেমন একদিকে পূরণ হয়নি, অন্যদিকে দেশের ব্যবসায়ী ও সরকার উভয়ই পড়ছে ক্ষতির মুখে।
Leave a Reply