বাহাদুর চৌধুরী,
চরফ্যাশনের উন্নয়নপ্রয়াসে প্রশাসনের সাহসী পদক্ষেপকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে এক শ্রেণির সুবিধাবাদী কুচক্র মহল। সম্প্রতি চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলিকে ঘিরে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার শুরু করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লক্ষ্য একটাই—স্বার্থসিদ্ধি না হওয়ায় চরফ্যাশনের সাহসী নারী নির্বাহী কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকে কালিমালিপ্ত করা।
আমাদের নিরপেক্ষ অনুসন্ধানে চলে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য -একটি মহল নিজেদের অনুপযুক্ততা ও অনিয়মের কারণে সরকারি প্রকল্পে কাজ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে। তারা বুঝে ফেলেছে—চরফ্যাশনে টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য, কাগজে-কলমে উন্নয়ন আর বাস্তবে দুর্নীতি করা আর সম্ভব নয়। তাই তারা এখন মুখোশ পরে ফেসবুকে ‘ফেক আইডি’ খুলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবেলায় গণমাধ্যমের আহবানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাত ১২টায় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজারীগঞ্জ ও জাহানপুর এলাকার ৬০,০০০ মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় পর্যটন কেন্দ্র খেজুরগাছিয়া বেরিবাঁধ নির্মাণের কাজ পরিচালনা করেন। ভয়াবহ দুর্যোগ তুফান বর্ষণে যখন এই এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল, তখন এই নারী অফিসার ছিলেন হাতে কলমে কাজ পরিচালনায়।
উক্ত দিন সেই সব সুবিধাবাদী ঠিকাদার এবং সমালোচকরা কোথায় ছিলেন? জনমানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের কোনো অংশগ্রহণ তো চোখে পড়েনি!
প্রকৃতির বাধা মানেই ব্যর্থতা নয়
সাম্প্রতিক অতীতে চরফ্যাশনে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা গত ৫০ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন। প্রকৃতির এই বৈরি আচরণে কোনো প্রকল্পে ছোটখাটো সমস্যা হতেই পারে, কিন্তু তা সংশোধনযোগ্য। চরফ্যাশনের প্রশাসন ইতোমধ্যে আশ্বস্ত করেছে—যেসব প্রকল্পে পুনঃনির্মাণ বা মেরামতের প্রয়োজন, তা দ্রুত এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
চরফ্যাশনবাসী এখন অনেক সচেতন। তারা জানে কারা প্রকৃত উন্নয়নের সৈনিক এবং কারা মুখোশধারী সুযোগসন্ধানী। যারা ইতিহাস বিকৃত করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঘৃণার বীজ বপন করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্যে একটি কথাই—এখন আর “বাঘে খাইছে” দিন নেই।
তাই উক্ত বিষয়গুলি নিয়ে চরপ্যাশন উপজেলার জনগণের আহ্বান
উন্নয়নের বিরুদ্ধে নয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। প্রকৃত কাজের মূল্য দিন, সম্মানিত মানুষদ
Leave a Reply