সাইফুল ইসলাম রিমন,,
ভোলা সদর ও লালমোহন উপজেলায় একযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মোট ৪৩৩ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ জব্দ করেছে প্রশাসন। একইসাথে ৩টি দোকানে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ২ ব্যবসায়ী মুচলেখা দিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের অবৈধ পলিথিন ব্যবসা না করার অঙ্গীকার করেছেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে, ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের খায়ের হাট বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুইটি দোকান থেকে মোট ১০৯ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ জব্দ করা হয়।
মেসার্স সুমাইয়া স্টোর (মালিক: মোঃ কামাল) থেকে ৫০ কেজি
মেসার্স জামাল স্টোর থেকে ৫৯.১ কেজি
দুই দোকানের মালিকই ভবিষ্যতে এ ধরনের পলিথিন ব্যবসা না করার শর্তে মুচলেখা দেন।
অন্যদিকে, লালমোহন উপজেলা সদরের মহাজন পট্টিতে পৃথক অভিযানে ৩টি দোকান থেকে মোট ৩২৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়।
মেসার্স মামুন স্টোর থেকে ১৬২ কেজি
মেসার্স মিজান বানিয়া স্টোর থেকে ১৪৬ কেজি
মেসার্স নিখিল স্টোর থেকে ১৬ কেজি
এ সময় লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ আজিজ মামুন স্টোর ও মিজান বানিয়া স্টোরকে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা এবং নিখিল স্টোরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এই অভিযানে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ তোতা মিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। লালমোহন থানা পুলিশ এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের একটি চৌকস টিম এ অভিযানে সহায়তা করে।
সহকারী পরিচালক মোঃ তোতা মিয়া জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। বর্তমানে জব্দকৃত পলিথিনগুলো প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে, খায়ের হাট বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ কামালকে আন্তঃজেলা পলিথিন চোরাচালান চক্রের অন্যতম হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে ভোলার দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলাসহ বরিশাল ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ পলিথিন সরবরাহ করা হয়। তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিকবার প্রশাসন অভিযান চালিয়ে গুদামঘর জব্দ ও জরিমানা করেছে।
Leave a Reply