হাফিজুর রহমান(যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরে এক প্রবাসীর জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই প্রবাসীর প্রথম স্ত্রী লিপিকা বিশ্বাস বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে কেশবপুর থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
অভিযোগে লিপিকা বিশ্বাস উল্লেখ করেছেন, তার শশুর উপজেলার কালিচরনপুর গ্রামের মৃত সন্তোস বিশ্বাসের ছেলে মৃত দুলাল বিশ্বাস মৃত্যুর পূর্বে ২০১৩ সালে তার ছেলে (লিপিকা বিশ্বাসের স্বামী) মালয়েশিয়া প্রবাসী সুজিত বিশ্বাসের (৩৫) নামে কালিচরনপুর মৌজার একাধিক দাগের ৭ বিঘা ৩ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। এরপর থেকে তার স্বামীসহ তারা ওই জমি শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগদখল করে আসছেন। গত ৮ বছর পূর্বে তার স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসে চলে গেলেও তিনি ও তার সঙ্গীয় সতীন নিপা মন্ডল একসাথে মিলেমিশে স্বামীর বসত বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। বর্তমান তার স্বামী সুজিত বিশ্বাস প্রবাসে রয়েছেন। এ সুযোগে একই গ্রামের মৃত দুলাল বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জিত বিশ্বাস (৪০) , অসিত বিশ্বাস (৫৫), অসিত বিশ্বাসের স্ত্রী লাবনী বিশ্বাস (৪৫) ও মৃত ভোলা নাথের ছেলে ইউপি সদস্য অসীম (৪৫) তার স্বামী সুজিত বিশ্বাসের নামে থাকা ওই জমির মধ্যে একই মৌজার ১০৪৬ আর এস দাগের ৯০ শতক জমি দখলের চেষ্টা করছেন ও তাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এমনকি গত ২০ জুলাই বিবাদীরা তার সতীন নিপা মন্ডলকে সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে আসতে হবে বলে হুমকি দেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত মঙ্গলবার ওই প্রবাসীর প্রথম স্ত্রী লিপিকা বিশ্বাস বাদী হয়ে কেশবপুর থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
সুজিত বিশ্বাসের ছোট স্ত্রী নিপা মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, তার শশুর মৃত দুলাল বিশ্বাস মৃত্যুর পূর্বে তার স্বামী সুজিত বিশ্বাসের নামে কালিচরনপুর মৌজার ৭ বিঘা ৩ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। এরপরও এ জমি তার ভাশুর ও দেবরকে সমান ভাগ দেওয়া হয়। কালিচরনপুর মৌজার ১০৪৬ আর এস দাগের ৯০ শতক জমি তাদের ভাগে পড়ে। এরপর থেকে তারা ওই জমিতে মৎস ঘের করে আসছেন। তার স্বামী সুজিত বিশ্বাস বর্তমান মালয়েশিয়ায় থাকার সুযোগে আসামীরা তাদের অংশের জমি দখলের চেষ্টা করছেন ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে চলেছেন।এতে করে প্রবাসীর দুই স্ত্রী ভয়ে আতঙ্কে ওই গ্রামে বসবাস করছেন।
বিবাদী অসিত বিশ্বাস জমি দখলের চেষ্টা ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন তার বাবার যে জমি আছে তার প্রতি দাগে তিন ভাই সমান ভাগ করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যা এলাকার বিশিষ্টজনেরা জানেন।
এ বিষয়ে ১নং বিবাদী সঞ্জিত বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, লিপিকা ও নিপা মন্ডল মিলে আমাদের নামে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে। এ জন্য তাদের হাত পা ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply