মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
কুষ্টিয়া শহরের ব্যস্ততম এলাকায় আবারও প্রাণ গেলো এক নিরীহ পথচারীর। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া বিটিসি’র সামনে একটি ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন এক পথচারী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা ট্রাকটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি ওই ব্যক্তিকে চাপা দেয়। ঘটনার পরপরই এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
নিহতের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একজন যুবক রাস্তা পার হচ্ছিলেন। হঠাৎ পেছন থেকে আসা ট্রাকটি কোনো ধরনের হর্ন না দিয়েই তাকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘাতক ড্রাম ট্রাকটিকে জব্দ করা হলেও চালক পলাতক রয়েছে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। তারা জানান, কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে প্রতিনিয়ত ভারী যানবাহনের চলাচল বাড়ছে। সড়ক নিরাপত্তার ঘাটতির কারণে এমন দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে।
“প্রতিদিনই দেখি এই রাস্তায় ড্রাম ট্রাক বা অন্য ভারী যানবাহন কোনো নিয়ম না মেনেই চলাচল করে। আজ একজন মারা গেলো, কাল আর কে?”, বলেন এক স্থানীয় দোকানদার।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই, তবে চালকদের বেপরোয়া মনোভাব এবং জনবল সংকট আমাদের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং চালককে আটকের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত এ বছরে কুষ্টিয়া শহরের ভেতরে এ ধরনের দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবুও নিরাপদ সড়কের কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও সচেতনতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। তারা মনে করেন, সড়কে সিসি ক্যামেরা, স্পিড ব্রেকার ও পথচারী পারাপারে নির্ধারিত জেব্রা ক্রসিং চালু করলেই অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো তারপর সম্ভব।
Leave a Reply