মোঃ অনিকুল ইসলাম উজ্জ্বল কলাপাড়া পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিখিল কর্মকারের আমিরাবাদ গ্রামে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. ফজলুর রহমান (ফজলুল হক) ভেন্ডারকে মদদদাতা হিসাবে চিহ্নিত করে এ ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এই বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে রবিবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেস ক্লাবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শিলা রাণী, নিখিল কর্মকারের স্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন নিখিল কর্মকার, দশম শ্রেণির ছাত্রী নিঝুম কর্মকার ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র নীরব কর্মকার।
লিখিত বক্তব্যে শিলা রাণী জানায় যে, তারা এখন পুরো পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গত ২২ আগস্ট রাতের বেলা ডাকাতরা তাদের বাড়িতে ঢুকে সশস্ত্রভাবে হামলা চালায়। ডাকাতির সময় তারা সকলকে মারধর করে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার এবং নগদ অর্থ নিয়ে যায়। ডাকাতদের মধ্যে একই এলাকার দুর্জয় হাওলাদারকে তারা চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। বর্তমানে পুলিশ ওই দুর্জয়কে গ্রেফতার করেছে। শিলা রাণী আরও জানায় যে, এই ঘটনার পেছনে স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান (ফজলু ভেন্ডার) জড়িত আছেন এবং তিনি ঘটনায় ভিন্ন দৃষ্টিকোণ তৈরি করতে চেষ্টা করছেন। এছাড়া, নিখিল কর্মকার পুলিশ কর্তৃপক্ষকে ফজলুর রহমানকে ডাকাতির মামলায় আসামি করার জন্য আবেদন করেছেন বলেও দাবি করেন।
শিলা রাণী বলেন, ‘২০২৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ফজলু ভেন্ডারের নেতৃত্বে তার ছেলেসহ আরও সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে। হামলায় বাড়ির গেট এবং দেওয়াল ভাঙচুর হয়েছে। আমার স্বামীর মোটরসাইকেলও নিয়ে গেছে। সেই রাতে সুনীল মিত্রের বাড়িতেও হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে এবং তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। মূলত আমাদের জমিজমা দখল করার জন্য এসব হামলা ও মামলা করা হচ্ছে।’ বর্তমানে তাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় জীবনযাপন করছে এবং শিলা রাণী বলেন, তার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তারা পুরো পরিবার বিচার ও নিরাপত্তা দাবি করেছেন।
অভিযোগকৃত বিএনপি নেতা মো. ফজলুল হক জানিয়েছেন, শিলা রানীর সঙ্গে তার একটি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত একটি মামলা জেলা জজ আদালতে চলমান রয়েছে। তিনি দাবি করেন যে, জমিটি তিনি বহু আগে (২০২২ সালে) কেনার চুক্তিতে বায়না করেছেন, কিন্তু শিলা রাণী পরে পাওয়ার দলিল তৈরি করেছেন। হামলা ও ডাকাতির ঘটনাকে তিনি সম্পূর্ণ সাজানো নাটক হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং অভিযোগ করেন যে, এসব ঘটনা মূলত তাকে হয়রানি করার জন্য করা হচ্ছে।ফজলুর রহমান সমস্ত অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেছেন।
Leave a Reply