মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
কুমারখালীতে আত্মগোপনে থাকা রহিদুলকে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মসজিদের ইমামের চোখ উপড়ে ফেলার মতো চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত রহিদুল ইসলামকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতরাতে (মঙ্গলবার দিবাগত রাত) আনুমানিক ৩টার দিকে পার্শ্ববর্তী কুমারখালী উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দৌলতপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা নিশ্চিত হয় যে, ইমামের উপর হামলার প্রধান আসামি রহিদুল কুমারখালী উপজেলার একটি বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে।
গভীর রাতের এই অভিযানে রহিদুলকে সফলভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রহিদুল দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “ঘটনাটি ছিল অত্যন্ত মর্মান্তিক ও পাশবিক। ঘটনার পর থেকেই আমরা আসামিদের ধরতে তৎপর ছিলাম। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি রহিদুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং এই ঘটনার পেছনের কারণ ও এর সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য,সম্প্রতি জয়রামপুর এলাকার একটি মসজিদের ইমামের ওপর পূর্ব শত্রুতার জেরে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁর দুটি চোখ উপড়ে ফেলে। এই অমানবিক ঘটনায় পুরো এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়,ভুক্তভোগীর পরিবার এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িত সকলের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
Leave a Reply