মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও ইবি থানা এলাকার নতুন আতঙ্কের নাম,আওয়ামী দোসর খ্যাত এক সময়ের চরমপন্থী নেতা কোবির ও তার পরিবার।
কোবির এবং তার দুই ছেলের প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া,ও যেখানে সেখানে ওতো প্রত ভাবে মানুষকে হুমকি দেওয়া নিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত কোবির কুমারখালী থানার চাঁদপুর ইউনিয়নের ঢলনগর গ্রামের মৃত কোবাদ আলীর ছেলে,ঋতিক, ও মৃতিক,তার বাবার দেখানো পথেই একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। এছাড়া ও সব সময় তাদের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এর আগে গত ১৩ ই মে সকাল ১০ টায়,পার্শ্ববর্তী হরিনারায়নপুর বাজারের মধ্যে কবিরের ছোট ছেলে ঋতিক, হাই স্পিডে মোটরসাইকেল চালানোর সময় একটি ভ্যানে লেগে ভ্যান টি ভেঙে যায়,ভ্যান চালোক প্রতিবাদ করলে,তার কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্র ডাশা দিয়ে তাকে কোপাতে ধেয়ে আসে।
সে সময় বাজারের লোকজন ঋতিক কে,আটক করে হরিনারায়নপুর পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করে। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে এসে,একের পর এক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছে ঋতিক।
এছাড়াও ঢলনগর গ্রামের জিন্নাহ আলী শেখ নামে একজন বলেন,কোবির আওয়ামী লীগের দোসর , দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরে, ৫ ই আগস্টে হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও কবিরকে কেউ প্রতিহত করতে পারে নাই। থানা পুলিশ কোর্ট কাছারি সব জায়গায় তার অবাধে বিচারণ। তার ভয়ে এলাকায় কেহ কথা বলতে পারে না,কবিরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আমরা আতঙ্কিত,আমরা এর থেকে মুক্তি চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক,কবিরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, ১১ই মে সন্ধার পরে কোবির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী, ৮ থেকে ১০ টা মোটর সাইকেল যোগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপরে আক্রমণ করতে আসে,আমি দৌড়ে জঙ্গলী গ্রামে পালায়। আমি সহ আমার পরিবার এখনো রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারি না। কবিরের দুই ছেলে সব সময়,ডাসা,রামদা,নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা কবিরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্তি চাই,এদিকে ঢলনগর গ্রামে একের পর এক সামাজিক কলহের মূলে ও আছে কবিরের নাম। তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ঢলনগর ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম জঙ্গলী। গ্রামবাসীদের দাবি,যত দূরত সম্ভব কোবির ও তার দুই ছেলেকে আটক করে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এতে করে গ্রামবাসীদের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে,বিষয়টি নিয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সোলাইমান শেখ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply