মোঃ বেলাল হোসেন
বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা।
পটিয়ার মেয়ে অপর্ণা দত্ত — একটি নির্মম ঘটনার প্রতিচ্ছবি, দনিয়া শাখায় কর্মরত এক মহিলা অফিসার, অপর্ণা দত্ত, সহকারী অফিসার (ক্যাশ)।
বাড়ি: খলিলুর রহমান কলেজের পাশে, ৩ নম্বর ওয়ার্ড, পটিয়া পৌরসভা, পটিয়া, চট্টগ্রাম।
গত রবিবার, কোনো যথাযথ কারণ ছাড়াই — শুধু মাত্র হিন্দু ধর্মের অনুসারী হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে টার্মিনেট করা হয়।
তিনি পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে, গতকাল দিনের বেলায় স্বামীকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
ঢাকায় পৌঁছে যখন তিনি স্বামীকে বিস্তারিত জানালেন, আমার চাকরি চলে গেছে, তাই মালপত্র নিয়ে যেতে আসছি আমরা।
তখন তার স্বামী সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েন।
ইতিপূর্বেই তার স্বামীর ব্যবসা অসুস্থতার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, ফলে সংসার চলত অপর্ণার আয়ের উপর নির্ভর করে।
দুইটি ছোট ছেলে — একজনের বয়স মাত্র ৬ বছর, আরেকজনের ১২।
স্ত্রীর চাকরি চলে যাওয়ার খবর শুনে তিনি গভীর মানসিক চাপে ভুগতে থাকেন, সারারাত অস্থিরতা ও টেনশনে কাটান।
পরদিন সকালে আর ঘুম থেকে ওঠেননি।
ডাক্তারের ভাষায় — অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেই তিনি স্ট্রোক করে মারা যান।
সকালে মেডিকেল নিয়ে গেলে ডাক্তারা নিশ্চিত করেন যে উনি পরপারে চলে গেছেন।
একটি পরিবারের ভরসা, এক মায়ের চোখের আলো, এক স্ত্রীর জীবনের সমস্ত লড়াই —
সবকিছু শেষ হয়ে গেল কিছু মানুষের অন্যায়, ধর্মীয় বৈষম্য আর অমানবিক সিদ্ধান্তের কারণে।
অপর্ণা দত্ত চট্টগ্রামের মেয়ে বলেই ইসলামী ব্যাংক কতৃপক্ষ চাকরিচ্যুত করেন । আজ এই সুন্দর সংসার টা ধ্বংসের মূল হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক।
এলাকাবাসীরা জানান, অপর্ণা দত্ত একজন ভালো মেয়ে ছিল। যখন সে ইসলামী ব্যাংকে চাকরি পায়, তখন তার সংসারে সুখ আসছিল। হঠাৎ তার চাকরি চলে যাওয়াতে তার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্ত্রীর চাকরি চলে যাওয়ার খবরে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরে। অবশেষে তার স্বামী মৃত্যু বরণ করেন। এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী হলো ইসলামী ব্যাংক কতৃপক্ষ।
Leave a Reply