✍️ রেশমা চৌধুরী, ভোলা চৌধুরী পড়িবার
৫ই আগস্ট ২০২৪-এর পরের গল্প
কাক চোখ বন্ধ করে ভাবে কেউ দেখে না, শিয়াল দল বেঁধে হামলা করে, আর ছাগল ভাবে— মাঠের সব ঘাস ওর নিজের!”
ভোলা জেলার দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এখন যেন রাজনীতি নয়, চলছে জংলি নীতির খেলা! সরকারের মেয়াদ শেষে, নির্বাচনের পর থেকেই হঠাৎ করেই এক নতুন ‘প্রাণীরাজ্য’ দখলদার চক্র গজিয়ে উঠেছে — নাম দিয়েছে স্থানীয়রা:
‘নতুন কাক’, ‘রাজনৈতিক শিয়াল’ ও ‘ফসলখোর ছাগল’ চক্র!
এই দখলবাজদের কেউ কাকের মত চোখ বন্ধ করে সব গিলে ফেলে, ভাবে কেউ কিছুই জানে না। কেউ শিয়ালের মতো ফাঁক বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়ে, আবার কেউ ছাগলের মতো অন্যের ফসল নিজের মনে করে চিবোচ্ছে দিনের আলোয় — আর গুনছে রাতের হিসাব।
সরকারি টেন্ডার যেন এখন ‘জ্যান্ত মাছ’— কে আগে লাফিয়ে খাবে তাই নিয়ে দৌঁড়! কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প এখন ভাগ-বাটোয়ারার খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র বলছে, “যেখানে কাজ হয় না, সেখানেও বিল পাশ হয়। কাগজে উন্নয়ন, বাস্তবে ধ্বংস!”
মানবাধিকার কর্মীদের মতে, দুদক যদি একবার সরেজমিনে নামত, তাহলে নতুন কাক, শিয়াল ও ছাগলদের মুখোশ খুলে ফেলতে এক মুহূর্তও লাগবে না।
এই দখলদার চক্র এখন শুধু অফিসপাড়ায় থেমে নেই, ছড়িয়ে পড়েছে নদীর ঘাট, বাজারের ইজারা, এমনকি দরিদ্র কৃষক-জেলেদের চর পর্যন্ত!
নয়ামতপুর ও মদনপুরের অসহায় মানুষ এখন রাতে ঘুমায় দখলের ভয়ে, দিনে থাকে উৎকণ্ঠায়।
নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন এখন যেন “ওপেন সিক্রেট”। সাহস করে কেউ মুখ খুললেই তার ঘর-পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা!
দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একে একে ইউনিয়ন পরিষদগুলো নিজেদের ‘দখলে’ এনেছে চক্রটি। এখন খবর মিলেছে, তারা চোখ রেখেছে বোরহানউদ্দিন পৌরসভায়।
সাধারণ জনগণ বলছে— “যেখানে জনগণের টাকায় চলে উন্নয়ন, সেখানে এখন চলছে ক্ষমতার দস্যুতা!”
এদের তাণ্ডব চলতে থাকলে একসময় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারাও রেহাই পাবেন না।
“যারা আশ্রয় দেয়, তাদেরও একদিন ইজ্জতের খাতা থেকে নাম কেটে ফেলবে এরা!” — বলছেন রাজনৈতিক দলগুলোর সমাজ সেবক গং।
এ-ই মুহূর্তে জনগণের দাবি:
এই দখলদার চক্রকে দল-মত নির্বিশেষে চিহ্নিত করে রাজনীতির ছায়া থেকে টেনে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক। নইলে উন্নয়ন নয়, ধ্বংসের পসরা সাজিয়ে বসবে তারা।
#দখল_বাজি_বিপদজনক | #রাজনীতি_না_রাজত্ব | #জনগণের_পক্ষেই_সত্য,#বিএনপি-#জামাত,
#গণতন্ত্রেরকণ্ঠ
✍️ প্রতিবেদন: রেশমা চৌধুরী
Leave a Reply