দৈনিক দক্ষিণের অপরাধ সংবাদ
খুলনা জেলা প্রতিনিধি
মোঃ শাহিন হাওলাদার
আমশড়া সরকারি হাটের পড়া আড়াই শতবর্ষী বটগাছ।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার ৩নং ধুবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আমশড়া সরকারি হাটের আড়াই শতবর্ষী মা অর্থ্যৎ মূল বটবৃক্ষের বও থেকে সৃষ্টি দুটি বটগাছ উপড়ে পরেছে। তবে কোন হতাহতের খবর নেই। একটি দুইবছর আগেই আরো একটি দুই মাস আগে অর্থাৎ ১৫ জুন রাতে গাছ দুইটি এমনিতেই উপড়ে পড়ে। লোক সমাগম ছিল না বলেই বড় ধরণের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। দুইটি বটবৃক্ষ ভেঙ্গে পড়ে অনেক খানি হাটের জায়গা দখল করে নেওয়াতে হাটে দোকানদের ব্যবসা করতে নিধারুণ কষ্ট হচ্ছে । সি,এস রেকর্ড অনুযায়ী জানা যায়, মৃত্যু বাবু রহমানের বুড়ি দাদীর দাদী হাটের ইজারাদার মালিক গুলজান বেওয়া ৪১ শতাংশ জমি হাটের নামে দান করেন। তৎকালীন সেই হাটে হাদু আকন্দ ও সাদু আকন্দ দুই ভাই মিলে দুইটি বটবৃক্ষ চারা রোপণ করেন সেই বৃক্ষকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল হাট, ঐ বটবৃক্ষের নিচে বসে হাটের খাজনা আদায় করতেন সেই বৃক্ষ হঠাৎ উপড়ে পড়ায় অনেকেই হতভম্ব হয়ে পড়েন। কষ্টও পেয়েছেন অনেকেই। এদের অধিকাংশই স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি অনেকেই।
আশি বছর বয়সী আলহাজ্ব মোছের আলী বলেন,এই বটগাছের বয়স আনুমানিক প্রায় আড়াই শত বছরের বেশি হবে। এক সময় গ্রামে বিদ্যুৎ ছিলনা।গ্রীষ্মকালে ছায়াঘন পরিবেশের জন্য এই চারটি বটগাছের নিচে বসে অনেকেই নির্মল ও প্রশান্তির বাতাসে গা এলিয়ে দিয়েছেন। আর এই বটগাছকে ঘিরেই সৃষ্টি হয়েছে আমশড়ার ঐতিহ্যবাহি নাম হাকডাক জোল্লুস ছড়ানো হাট। এখন প্রায় তিন বিঘা জমির আয়তনে ছায়া দিয়েছে এই কয়েকটি বট গাছ। এই মা গাছের ছায়াতলে বসছে হাট। এই মা বটগাছের বোও থেকে সৃষ্টি শাখা দুটি বটগাছ পড়ে গেলেও মা বটগাছ অর্থ্যৎ মূল বটগাছটি এখনোও দাঁড়িয়ে আছে। মা অর্থ্যৎ মূল বটগাছটি আমাদের সবার প্রিয়।
প্রবীণ বছির উদ্দিন আকন্দ বলেন,শতবর্ষী এই বটগাছ হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ায় মনটা খারাপ হয়ে গেছে। ঝড়ের তান্ডবে কিছু হলে এতটা খারাপ লাগতো না। মাদ্রাসায় এসেই খেলা ধুলা থেকে শুরু করে এই মা বটগাছ অর্থ্যৎ মূলবটগাছের নিচে শৈশব ও কৈশর কেটেছে আমাদের। এখন বৃদ্ধকাল পাড় করছি। গাছ দুইটি এভাবে উপড়ে পড়বে কখনো ভাবিনি। তবুও কোন দুর্ঘটনা না ঘটার জন্য পরম করুণাময়ের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
এদিকে গাছ দুইটি উপড়ে পড়ার পর সুযোগ সন্ধানী অনেকেই গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি দ্রুত নজর দিবেন বলে দাবী এলাকাবাসীর।
রায়গঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে হলে তিনি এই প্রতিনিধিকে বলেন, গাছ দুইটি উপড়ে পড়েছে বলে সংবাদ পেয়েছি। অতি তাড়াতাড়ি গাছ দুইটির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, গাছ দুইটির উপড়ে পড়ার সংবাদ পাওয়ার পর স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্তকর্তাকে নজরদারীর জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজনে গ্রাম পুলিশকে নজরদারীতে রাখা যেতে পারে। এছাড়া চলাচলের যাতে প্রতিবন্ধকতা না হয় সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply