দৈনিক দক্ষিণের অপরাধ সংবাদ
বিশেষ প্রতিনিধি
মোঃ শাহিন হাওলাদার
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত ও পরবর্তীকালে পুলিশ সদস্যদের হামলায় দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে বাংলাভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার কেফায়েত শাকিল ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শরীফ আলমের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। তাদের নিকটস্থ পুলিশ বুথের ভেতরে নিয়ে মারধর করে পুলিশ সদস্যরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির দিকে মোটরসাইকেল যোগে আসার সময় হামলার শিকার হন দৈনিক নিউ নেশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শিমুল পারভেজ ও নোমান মোশারফ। তাদের রক্ষা করতে গিয়ে বাংলাভিশনের সাংবাদিক কেফায়েত শাকিল ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর শরীফ আলমও আহত হন।
জানা গেছে, আহত সাংবাদিক শিমুল ও মোশারফ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির দিকে আসছিলেন। এজন্য তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সড়ক ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে আসার সময় একটি মাইক্রোবাস এসে তাদের সামনে দাঁড়ায়। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা শিমুল পারভেজ সেই মাইক্রোবাস চালককে গাড়ি একটু পিছিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু গাড়ি না সরিয়ে উল্টো গাড়ির ভেতর থাকা চালক ও যাত্রীরা তাদের গালাগালি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা মোটরসাইকেল আরোহী সাংবাদিক মোশারফকে ঘুষি মারে। এরপর মোটরসাইকেল থেকে নেমে সাংবাদিক শিমুলের প্রতিবাদ করলে মাইক্রোবাসের চালক গাড়ি থেকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিমুলকে আঘাত করার চেষ্টা করলে তিনি তার হাত দিয়ে ঠেকান। তবুও হাতে আঘাত লাগে এবং তার হাত কেটে গিয়ে রক্তাক্ত হয়। পরে চালক ও প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তিরা নেমে এসে তাদের বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ চলতে থাকে। সেই দৃশ্য দেখে পাশে থাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের গেটের পাশে থাকা ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা দেখতে পান।
এ সময় জয়নাল নামের এক পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে অন্য পুলিশ সদস্যরা ছুটে যান। তারা গিয়ে অন্যদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। কিন্তু পরে তারা তিন সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন। পারভেজ, নোমান ও শাকিল তাদের সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও মারধর করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে তাদের পুলিশ বক্সে নিয়ে আরও কয়েক দফা মারধর করা হয়।
আহত শিমুল পারভেজ জানান, মাইক্রোবাস চালক তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর সেটির যাত্রীরা নেমেও আরেক দফা মারে। কিন্তু সেই দৃশ্য পুলিশ কাছ থেকে দেখলেও সাহায্যে এগিয়ে না এসে উল্টো আমাদের মারধর করেছে। পরিচয় দেওয়ার পরও তারা দফায় দফায় পুলিশ বক্সে নিয়ে মেরেছে। যা অন্যায় ও ইচ্ছাকৃত বলে আমি মনে করি।
Leave a Reply