
বিজয় চৌধুরী (বিশেষ প্রতিনিধি)
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড টেকনাফ উপকূলীয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট এবং বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ জব্দ করেছে। এই অভিযানটি পরিচালিত হয় টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ সংলগ্ন গভীর সমুদ্র এলাকায়, যেখানে বেশ কিছুদিন ধরে অবৈধ মাছ ধরার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল।
কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফের একটি বিশেষ দল গতকাল রাতে একটি সুনির্দিষ্ট এলাকায় নজরদারি শুরু করে। গভীর রাতের দিকে সন্দেহজনকভাবে চলমান একটি ট্রলিং বোটকে থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির একপর্যায়ে ট্রলিং বোটটির কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সেটিকে অবৈধ ঘোষণা করে জব্দ করা হয়।
তল্লাশির সময় বোটটির ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, মাছগুলো অবৈধভাবে গভীর সমুদ্র থেকে আহরণ করা হয়েছিল। এছাড়া, ট্রলিং বোটটি আর্টিসানাল লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও গভীর সমুদ্র এলাকায় চলাচল করছিল, যা মৎস্য সম্পদ আইনের লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ডের এক মুখপাত্র জানান—
“সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও বাংলাদেশের জলসীমায় টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের নিয়মিত টহল এবং অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই। অবৈধভাবে পরিচালিত যেকোনো নৌযান ও ট্রলার রোধে কোস্ট গার্ড সর্বদা তৎপর রয়েছে।”
জব্দকৃত মাছ ও বোট পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় মৎস্য অফিস ও সংশ্লিষ্ট থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্তকরণ ও আইনি প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
এ ধরনের অভিযান সমুদ্র সীমায় অবৈধ মাছ ধরার প্রবণতা রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নিয়মিত নজরদারি ও কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সমুদ্রসম্পদ রক্ষা করা সম্ভব।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জানায়, ভবিষ্যতেও এ ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ রোধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হবে।
Leave a Reply