
🖋 এলএলবি মোহাম্মদ আলী |
ভোলা সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুকর্ণা আক্তার ইস্পিতার কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু আজ ভোলার সাধারণ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর চাঞ্চল্য ও রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠেছে –
এটি কি প্রেমঘটিত কোনো আত্মহত্যা, নাকি রাজনৈতিক কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার?
নাকি এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড, যা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে?
১৭ জুন, প্রাইভেট পড়া শেষে ইস্পিতা হঠাৎ বাড়ি না ফিরে লঞ্চে ওঠেন। প্রশ্ন জাগে,
কে বা কারা তাকে এই লঞ্চে উঠতে উৎসাহিত বা বাধ্য করেছিল?
কেবিনটি কার নামে বুক করা ছিল, কে বুক করেছে?
সেই সময় কেবিনে তার সঙ্গে আর কে বা কারা ছিল?
লঞ্চ সুপারভাইজার নান্টু বাবু “কিছু জানি না” বললেই কি লঞ্চ স্টাফরাও দায়মুক্ত?
এইসব প্রশ্নের উত্তর এখনো অধরা, কিন্তু তদন্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইস্পিতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি এখনো উদ্ধার হয়নি।
ফোনে থাকা ভিডিও, মেসেজ ও কললিস্ট-ই হতে পারে প্রকৃত ঘটনার মূল চাবিকাঠি।
সুকর্ণা আক্তার ইস্পিতা ছিলেন ভোলা সরকারি কলেজ শাখার একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের আসন্ন কাউন্সিলের সম্ভাব্য নেত্রী।
হঠাৎ করে কেন রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন?
কার হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন, আর কাদের কথা না শোনার কারণে তিনি চাপে পড়েন?
জানা গেছে, এর আগেও ইস্পিতা কলেজের চারতলা ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
সেই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল কেন?
কার স্বার্থে বিষয়টি আড়াল করা হয়েছিল?
একজন দিনমজুর পরিবারের মেয়ে হয়ে একটি বড় রাজনৈতিক দলে নেতৃত্বের স্বপ্ন দেখা সহজ নয় –
এতে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক চাপ ছিল কি?
অনেকের মতে, “এটা পাপিয়া ও মমতাজের যুগ, এমপি হতে হলে বহু ঘাটের পানি খেতে হয়” –
এই বক্তব্য পরিস্থিতির গভীরতা ও ভয়াবহতা তুলে ধরে।
Leave a Reply