বাহাদুর চৌধুরী।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ ও সাহসিকতার প্রতীক আলহাজ্ব সকেট জামাল আজ রাজনীতির মঞ্চে যেন এক বিস্মৃত নাম। তিনি শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নন, বরং ভোলা জেলার রাজনীতিতে এক অগণিত কর্মীর আশ্রয়-ভরসা ছিলেন দুর্দিনে।
বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা আলহাজ্ব হাফেজ ইব্রাহিম এবং জাতীয় পার্টির ভোলা জেলার রূপকার মরহুম নাজুর রহমান মঞ্জু সাহেবের সুযোগ্য সন্তান আন্দালি রহমান পার্থ সাহেবকে নিঃস্বার্থ ভালোবেসে তিনি ১৭ বছর ধরে মাঠ পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করে গেছেন।
এই সহযোগিতার কারণেই তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুইবার প্রাণঘাতী ক্রসফায়ার থেকে অলৌকিকভাবে রক্ষা পান। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল ৭০ থেকে ৭২টি মিথ্যা মামলাও। তিনি সেসব ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বছরের পর বছর জেলবন্দী জীবন কাটিয়েছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দলের বিপদে কিংবা আন্দালি রহমান পার্থ সাহেবের কোনো কর্মী সমস্যায় পড়লে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই সাহসী নেতা আওয়ামী স্বৈরাচারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ছিলেন বরাবরই সরব, ছিলেন রণাঙ্গনের সিংহের মতো সাহসী।
কিন্তু আজ, রাজনীতির সুসময়ে, তার প্রতি এই অবহেলা ও বিস্মৃতি কি আমাদের নৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি নয়?
ভোলা দৌলতখান-বোরহানউদ্দিনের মাটি আজও জানে আলহাজ্ব সকেট জামাল কার জন্য কতটা লড়েছেন। এমন একজন পরীক্ষিত যোদ্ধাকে অবহেলা করে কি রাজনীতি এগিয়ে যাবে, না কি হারাবে তার মানবিক মূল্যবোধ?
বিস্তারিত আগামী সংখ্যার পত্রিকায়।
Leave a Reply