মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
ডাক্তার ফিস ও ডায়াগনস্টিক টেস্টের মূল্য কমানোর দাবি সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের
ঔষধের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি এবং সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় চরম দুর্ভোগের প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমধর্মী মানববন্ধন।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয় আজ দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র পৌর চত্বর এলাকায়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শামিম উল হাসান অপু বলেন, এ দেশের অধিকাংশ মানুষ নিম্নমধ্যবিত্ত। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সুশীল সমাজের নানা স্তরের মানুষ। তারা বলেন, “ঔষধের দাম দিন দিন যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের চিকিৎসা নেওয়াই দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। এর সঙ্গে ডাক্তার ফিস ও ডায়াগনস্টিক টেস্টের অতিরিক্ত খরচ সাধারণ মানুষের পক্ষে বহন করা অসম্ভব।
মূল দাবি: সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ তাদের বক্তব্যে কয়েকটি মূল দাবি উত্থাপন করে ১. ঔষধের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ। ২. বেসরকারি ডাক্তার ফিসের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ। ৩. ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর টেস্টমূল্য নির্ধারিত হারে নির্ধারণ ও তদারকি। ৪. সাধারণ রোগীদের জন্য সরকারি ভর্তুকি বা বিশেষ স্বাস্থ্য কার্ড চালু।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, “স্বাস্থ্য অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। এই অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না। অথচ আজকে চিকিৎসা একটি ব্যয়বহুল ব্যবসায় রূপ নিয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার।
পেশাজীবী পরিষদের আহ্বান:পরিষদের নেতারা সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। তারা বলেন, যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে আগামীতে জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার সাধারণ মানুষ আশা করছেন, এই দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে এবং তারা কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পাবেন স্বাস্থ্যসেবায়।
Leave a Reply