নিজস্ব প্রতিবেদক, চরাঞ্চল
চরপ্যাশন উপজেলার এক বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর দুর্নীতি ও বন লুটের অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি তিনি দুইটি হরিণ শিকার করে প্রায় ৯০ কেজি মাংস আত্মসাৎ করেছেন। এর আগেও সাতটি হরিণ শিকারের সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উক্ত বিট কর্মকর্তা নিজের প্রভাব খাটিয়ে বনের খাল ও চর লিজ দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, দেড়শো থেকে দুইশো কেওড়া গাছ রাতের আঁধারে কেটে স্থানীয় ইটভাটায় বিক্রি করার অভিযোগও উঠেছে। এছাড়াও, কেওড়া ও ঝাউ গাছের মোটা ডাল ৪৫ জন জেলের কাছে মাথাপিছু ৩ হাজার টাকায় বিক্রির ঘটনাও ধরা পড়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বন বাগানের জমিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মোষ রাখার অনুমতি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেছেন তিনি। এতে করে বনের স্বাভাবিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। বনবিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন বলে জানা গেছে।
তবে এখনো পর্যন্ত অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সূত্র জানিয়েছে, বিট কর্মকর্তার আরও দুর্নীতির বিস্তৃত তথ্য আল্লাহর রহমতে খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।
Leave a Reply