মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত গৃহবধূর নাম ডলি খাতুন (৩৮), পিতা নফিল প্রামানিক। তার মৃত্যু নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে যেমন শোক, তেমনি দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভ। স্বামী মিজানুর রহমান (৪০) দাবি করেছেন, তার স্ত্রী দীর্ঘদিন মানসিক রোগে ভুগছিলেন এবং চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই প্রেক্ষিতে তিনি ১৯ জুলাই (শনিবার ) সকালে মিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯ জুলাই সকাল আনুমানিক ৭টায় স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তিনি কাজে বেরিয়ে যান। এরপর সকাল ৮টার দিকে তাদের মেয়ে মিশু (১১) ঘরে ঢুকে দেখতে পায়, ডলি খাতুন ঘরের ডাফের (বাঁশের আড়ার) সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ঝুলছেন। চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে মৃত অবস্থায় পান। খবর পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, “আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং তদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” ডলি খাতুনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, ডলি ছিলেন সহজ-সরল ও শান্ত স্বভাবের একজন নারী। তার মৃত্যুতে গোটা গ্রামে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। প্রসঙ্গত, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply