কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া কবি আজিজুর রহমান সড়কে পরাজিত পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা খোলস পাল্টিয়ে কেউ সাধারণ মানুষ সাজার চেষ্টা করছেন কেউ বিএনপির খোলসে কেউ জামাতের খোলসে ভোট ভোট খেলায় মেতে উঠেছেন।
যেখানে সারা বাংলাদেশে বর্তমানে কোন ভোটের আনাগোনা না থাকলেও এবং ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধে বাংলাদেশের উপরে একটা চরম চাপ তৈরি হয়েছে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত সেখানে এই আওয়ামী লীগের পান্ডা সালাম বাবু গং অশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মিটিং সিটিং করে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আওয়ামী লীগের দাগিমাল মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেমের আদর্শে অনুপ্রাণিত ও বাংলাদেশের কুখ্যাত এনআইডি জালিয়াতির প্রধান হোতা কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ থেকে ১০০ কোটি টাকা প্লাস হাতিয়ে নেয়া হাজী রবিউল ইসলামের সৈনিক ও কোলের ধন কুষ্টিয়া কবি আজিজুর রহমান সড়কে বুক ফুলিয়ে বেড়াচ্ছেন কোন খুঁটির জোরে।
কবি আজিজুর রহমান সড়ক ব্যবসায়ী সমিতির অফিসটা এরা আওয়ামী লীগের অফিসে পরিণত করেছিল বানিয়েছিল বালাখানা এই অফিসে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের বিভিন্ন সময়ে এনে করেছেন একাধিক ম্যারাথন মিটিং বিভিন্ন সময় সিদ্ধান্ত হয়েছে কিভাবে বিএনপি জামাতকে শায়েস্তা করতে হবে। ৫ ই আগস্টের পর এদের বড় বড় নেতারা ফট করে ফুড়ুৎ হলেও এদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও বর্তমান তাদের নামে মামলা দেয়া হয় নাই, গ্রেফতার নেই বাড়িতে বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছেন আর রোডে এসে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভোট ভোট খেলা শুরু করেছেন। এদের প্রতিহত করতে না পারলে এই দখলবাজারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে ।
এরা কায়দা করে বিভিন্নভাবে বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীর বউ ঝিঁ দের সাথে নিজেদের বউ ঝিঁদের সখ্যতা করে নেতা পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছে যেনো সেই পুরাতন বোতলে নতুন মদ হয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ শাসন কায়েম করতে পারে এই কবি আজিজুর রহমান সড়ক ব্যবসায়ী সমাজ কল্যান সমিতিতে।
এরা অবৈধভাবে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ব্যবসায়ী সমিতির রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ভূয়া ভোটার তৈরি করে অবৈধ পন্থায় নির্বাচিত হয়ে ব্যবসায়ী সমিতির ক্ষমতা কুকিগত করে রেখেছিলেন বিগত বছরগুলোতে।
যুগ যুগ ধরে ক্ষমতা ধরে রেখে ব্যবসায়ী সমিতির উন্নয়নের নামে সালাম বাবু গং নিজেদের উন্নয়ন করেছেন। এই আওয়ামী বাটপারেরা এরা পুনরায় নিজেরা নিজেরা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এবং বিভিন্ন মাধ্যমে কেউ বিএনপি নেতাদের সাথে ঘষতে শুরু করেছেন কেউ জামাতের সাথে ঘষছেন এভাবে আবার কায়দা করে ফয়দা লুটতে কবি আজিজুর রহমান সড়ক ব্যবসায়ী সমিতির ক্ষমতা বিভিন্ন মতাদর্শ দেখিয়ে আবার ওই আওয়ামী লীগ প্যাকেজকে জয়লাভ করে ক্ষমতায় বসে হাড্ডি চুষে খাওয়ার তালে ব্যস্ত।
সালাম বাবু গং অসংখ্য ভূয়া ভোটার তৈরি করে রেখেছেন দোকানের কর্মচারী সহ বাহিরের লোকজনদের বিভিন্ন গোডাউন দেখিয়ে মালিক সাজিয়ে ভোটার বানিয়ে রেখেছে যা সমিতির সংবিধানে নেই গঠনতন্ত্র পরিপন্থী যাদেরকে তারা ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করে।
দোকানদারেরা তাদের সঠিক ভোট প্রয়োগ করলেও কাঙ্খিত প্রার্থীকে প্রতিনিধি হিসেবে আনতে পারেননা এ সমস্ত অবৈধ ভোটার দের ভোট নিয়ে সভাপতি সেক্রেটারি সেজে তাদের নিজস্ব লোকেদের জয়ী করে শান্তিতে বসে মোরগের রান চিবানো আর মানুষের দোকান দখল সীমানা দখল মিথ্যা মামলা ভাড়াটি উচ্ছেদ তাদের বিপক্ষের লোকজন দোকানদারদের দোকানে যাতে ভাড়া না হয় এই সমস্ত কাজগুলো আগের মত শুরু করবেন সালাম বাবু গং । এরা কেউ উচ্চশিক্ষিত নয় অধিকাংশই বকলম ও স্বল্পশিক্ষিত চড়া সুদের সুদখোর ব্যবসায়ী। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের সুদে টাকা দিয়ে তাদের সোনাদানা সহ সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার গল্প চাউর আছে।
মিল পাড়া সহ আশেপাশের কিছু দাগি আওয়ামী মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের কাজে লাগাচ্ছে সালাম বাবু ও তাদের অনুসারী গং। এরা টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী হলুদ সাংবাদিক মাস্তান ক্রয় করতে মাঠে নেমেছেন।
বিজ্ঞ ব্যক্তিরা একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন কবি আজুর রহমান সড়কের ব্যবসায়ী সমিতিতে কি এমন মোয়া আছে যার জন্য টাকা দিয়ে গরিব দোকানদারদের ভোট কিনতে হবে মাস্তান কিনতে হবে সাংবাদিক কিনতে হবে অবৈধভাবে ভোটার বানিয়ে তাদের ভোট নিয়ে সমিতির চেয়ারে সভাপতি সেক্রেটারি ও বিভিন্ন পদে বসতে হবে কেন ??
বর্তমানে এ রোডে ব্যবসায়ী সমিতির দায়িত্বে যারা তত্ত্ববধায়ক হিসেবে রয়েছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই ভোট নয় এই ব্যবসায়ী সমিতিতে যারা নিবেদিত প্রাণ ব্যবসায়ী যারা মনে প্রাণে এই ব্যবসায়ী সমিতিকে একটা ভালো সংগঠন হিসেবে দেখতে চাই প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কল্যাণে একটি কল্যাণকর ব্যবস্থা তৈরি করতে পারেন ব্যবসায়ীদের পাশে বিনা স্বার্থে উপকার করার মানসিকতা আছে, উল্লেখ থাকে যে আওয়ামী লীগের দাগি মালগুলো বাদ দিয়ে উদার মনের ঐ সমস্ত ব্যবসায়ীদের নিয়ে এবং এ রোডে যাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে অথচ ভাড়া দিয়ে রেখেছেন তাদেরকেও সাথে রেখে একটি সাধারন মিটিং কল করে ইলেকশন নয় সিলেকশন করুন।
দেশ এক ক্রান্তিলগ্ন পার করছেন তার উপরে বৈষয়িক অবস্থা উদ্বেগ জনক চারদিকে যুদ্ধ চলছে বাংলাদেশে যুদ্ধ আতঙ্ক পরিস্থিতির মধ্যে ভোট ভোট খেলার এত খায়েস কেন?
ভোট ভোট খেলার টাকা খাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে কবি আজিজুর রহমান সড়ক সহ আশেপাশের কিছু মুখোশধারী দুই নম্বর লোক দুই তিন বছর ধরে ক্ষুধার্ত রয়েছেন সালাম বাবু গং দের ভোটের টাকা খাওয়ার জন্য কারণ ভোট না হলে তাদের বাড়তি টাকা হবে না।
তাই ভোট নয় কবি আজিজুর রহমান সড়ক ব্যবসায়ী সমিতিতে দরকার সংস্কার।
বিএনপি পন্থীদের দোকান দখল চাঁদাবাজি সমিতিতে বসে অসৎ কর্মকাণ্ড করা ১৭ বছরে সমিতির ১৭ টাকার উন্নয়ন নেই তাই এই দাগি লোকগুলো যেন এই ভোটের মধ্যে আসতে না পারে এবং অভিযুক্ত মোকাররম আতা হানিফ হাজি রবিউল তাদের দোষর আওয়ামী লীগের লোকগুলোকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে তারপরে ভোটের চিন্তা করলেও চলবে।
কবি আজিজুর রহমান সড়ক ব্যবসায়ী সমিতির নিবেদিত প্রাণ সরল প্রাণ মানুষগুলো একটু সুচিন্তিত মতামত গুলো নিজেদের মধ্যে বিশ্লেষণ পূর্বক এদের ফ্যাসিবাদীদের পাত্তা না দিয়ে একটু ভাবুন।
রোডের ভালো ভালো মানুষগুলোকে ভোটার না করে কায়দা করে তাদেরকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন ভোটার হিসাবে ঢুকিয়েছেন দাগি আওয়ামী তাদের পক্ষের লোকদের।
Leave a Reply