
এম মনিরুল ইসলাম শ্যামনগর।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় জনপদ শ্যামনগরের প্রত্যন্ত বিস্তৃত এলাকা জুড়ে,গড়ে উঠেছে ভ্রমণ পিপাসু দেশে-বিদেশি পর্যটকদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান,বিশ্বের একক ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা কলাগাছিয়া পর্যটন কেন্দ্র।
সুন্দরবন ঘুরে জানা যায়,
খুলনা বিভাগীয় শহর থেকে দুই তিনটা ট্যুরিজম সেন্টার সুন্দরবন ভ্রমণ করা যায়।এর মধ্যে রয়েছে মংলা, শরণখোলা সহ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের অধীনে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্রটিতে,শীত মৌসুমে প্রচুর পর্যটক বৃন্দের আগমন ঘটে।একদিন ভ্রমণের নিমিত্তে দূরদূরান্ত হতে ছুটে আসা পর্যটক বৃন্দের পদচারণায় মুখরিত হয় বন বিভাগের প্রধান কার্যালয় সংলগ্ন নীলডুমুর বাজার এলাকা। যে নিয়মে ভ্রমণ করতে হয়,
বন বিভাগ হতে রাজস্ব দিয়ে বৈধ অনুমতি সংগ্রহপূর্বক ট্রলার ভাড়া করে একজন প্রশিক্ষিত দক্ষ গাইড(পরিবেশবান্ধব) পর্যটকের সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকে।কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে রয়েছে,পাঁচ তলা বিশিষ্ট একটি ওয়াচ টাওয়ার পুকুরে কুমির জীব বৈচিত্রের অপূর্ব সমাহার হরিণের দল খাদ্যের সন্ধানে ছুটে আসা বানরের লুকোচুরি ভ্রমণপিপাসু ব্যক্তিবর্গের হৃদয় ভরিয়ে দেয়। ভ্রমণে আসা রাকিব আহমেদ এ প্রতিনিধিকে জানান,যদি আরো কিছু নতুন জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি হতো,তাহলে একদিকে ভ্রমণ পিপাসু ব্যক্তিবর্গ বেশি বেশি সুন্দরবন ভ্রমণে আসতো, অন্যদিকে রাজস্ব পেতো সরকার। খুলনা পশ্চিম বন বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট,দূর দূরান্তের অনেক পর্যটক ব্যতিক্রমধর্মী জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ ও অপরূপ পরিবেশ তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন।বলা হয়ে থাকে, জ্ঞান অর্জনের জন্য ভ্রমণের বিকল্প নেই।কলাগাছিয়া স্টেশন কর্মকর্তা শিপেন বাবু জানান, পর্যটন কেন্দ্রটি আরো উন্নততর করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
Leave a Reply