মোঃ অনিকুল ইসলাম উজ্জ্বল কুয়াকাটা
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও সৈকতের সৌন্দর্যবর্ধনে বৃক্ষরোপণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ শুক্রবার কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার হামিদের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সৈকতের হোটেল ধানসিঁড়ি থেকে গ্র্যান্ড ও সাফা ইন পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ৬০টিরও বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযান চলাকালে বাঁধা প্রদান করায় মন্নান মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ১৮৬ ধারায় ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অভিযান শেষে সৈকতের সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে গামার, ঝাউ, ক্রিসমাস, জবা, রংগন ও টিকোমা প্রজাতির তিন শতাধিক চারা রোপণ করা হয়।
এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক, কুয়াকাটা পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং উপকূলীয় বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপকূলীয় বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা কেএম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বনবিভাগের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান ও বৃক্ষরোপণে সহযোগিতা করা হয়েছে এবং রোপিত বৃক্ষগুলোর সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।’
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, ‘কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে অগোছালো ও অবৈধ স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধক বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে, যাতে পর্যটকরা সৈকতে নামতেই প্রশান্তি অনুভব করেন। এই কার্যক্রম ধাপে ধাপে পুরো এলাকায় চলবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘কুয়াকাটা দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু অবৈধ স্থাপনার কারণে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছিল। আজকের উচ্ছেদ অভিযান ও বৃক্ষরোপণ শুধু আইন প্রয়োগ নয়, বরং কুয়াকাটার হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ।’
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, এ কার্যক্রমের ফলে কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পুনরুদ্ধার হবে এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগ্রহ আরও বাড়বে।
Leave a Reply