বিজয় চৌধুরী, ঢাকা
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সৃষ্টি হলো আজ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা “জুলাই জাতীয় সনদে” স্বাক্ষর করেন।
এ সনদকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতন্ত্র, সুশাসন ও জাতীয় ঐক্যের নতুন ভিত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “জুলাই জাতীয় সনদ কেবল একটি রাজনৈতিক দলিল নয়—এটি জাতির সম্মিলিত প্রতিজ্ঞা, যা বিভাজন নয়, ঐক্যের সেতুবন্ধন তৈরি করবে।” তিনি আরও বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা একটি নতুন ভবিষ্যতের পথে পা রাখছি—যেখানে মতের ভিন্নতা থাকবে, কিন্তু লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশের অগ্রগতি।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তাঁদের অভিন্ন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন—দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়ার। তাঁরা বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে, এই সনদের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কৃতি আরও সভ্য, সহনশীল ও গঠনমূলক রূপ পাবে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক মহলে এক আশাব্যঞ্জক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, জুলাই জাতীয় সনদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন আস্থার বার্তা নিয়ে এসেছে। তারা মনে করেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বিভক্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে একটি ঐক্যবদ্ধ ও দায়িত্বশীল রাজনীতির সূচনা ঘটতে পারে।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে প্রফেসর ইউনূস সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন, “দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা তখনই সম্ভব, যখন রাজনীতি হবে জনগণকেন্দ্রিক ও নীতিনিষ্ঠ।”
এই স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে আশা, ঐক্য ও নতুন সম্ভাবনার এক অধ্যায়।
Leave a Reply