বিজয় চৌধুরী, ঢাকা
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে দেশের ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠানের পাসের হার শূন্য শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। একই সময়ে রাজধানীর বকশিবাজারে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করে।
তথ্য অনুযায়ী, পুরোপুরি পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৪৫টি, আর শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২টিতে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৫টি, অর্থাৎ এবার শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৩৭টি।
গতবার গড় পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ, যা এবার নেমে এসেছে ৫৮.৮৩ শতাংশে— প্রায় ১৯ শতাংশ কম। একইসঙ্গে, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৭৮ হাজার।
অন্যদিকে, এবারও পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে। ছেলেদের তুলনায় ৫৯ হাজার ২৩২ জন বেশি ছাত্রী পাস করেছে, এবং মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীও বেশি— ৪ হাজার ৯৯১ জন বেশি।
উল্লেখ্য, এত কম পাসের হার সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ২০০৫ সালে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে পাসের হার বেড়ে আসছিল।
এবার দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র ও ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী।
সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
চলতি বছরও ফল তৈরি করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে।
Leave a Reply