
তজুমদ্দিন প্রতিনিধি।।
ভোলা জেলার তজুমদ্দিনে তালিমুল কুরআন মডেল মাদ্রাসার সামনে এক নবজাতক কন্যাশিশুকে ফেলে রেখে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয়রা শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে বিষয়টি টের পান এবং দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
বর্তমানে চিকিৎসা শেষে শিশুটি তজুমদ্দিনের ব্যবসায়ী মো: সবুজ দম্পতির কাছে বাড়তি পরিচর্যার জন্য রাখা হয়েছে। উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ড বৃহস্পতিবার প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ শুরু করেছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সমাজসেবা কর্মকর্তার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তারা সাময়িকভাবে শিশুটির বাড়তি পরিচর্যার জন্য প্রদানের লক্ষ্যে সবুজ ও লুবনা দম্পতির বাসা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পর্যবেক্ষণ করেছেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো: সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিধি মোতাবেক পর্যবেক্ষণ শেষ উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ডের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার এর নিকট প্রতিবেদন দেয়া হবে। পরে বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্রেক্ষিতে আইনগত অভিভাবক না পাওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে শিশুটিকে পরিচর্যার জন্য রাখা হবে।
সুত্র জানায়, ২৭ আগষ্ট (বুধবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মোল্লাগ্রামের একটি নুরানী মাদ্রাসার বারান্দায় শিশুর কান্নার আওয়াজ পায় একপথচারী। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ব্যবসায়ী সবুজ উদ্ধার করে প্রথমে শিশুটিকে তজুমদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে দেখে দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে সবুজ ও লুবনা দম্পতি বিষয়টি থানা-পুলিশকে অবহিত করে শিশুটিকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। একদিন পর আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় শিশুকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শিশুটির পরিচর্যার দায়িত্ব নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ডের নিকট আবেদন করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সবুজ ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী মো. সবুজ ও লুবনা দম্পতি। আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও বোর্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহন পর্যন্ত তাদের হেফাজতেই রাখা হয়েছে নবজাতকে।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্বত খান বলেন, “শিশুটিকে কে বা কারা ফেলে গেছে তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়রা ঘটনাটিকে অমানবিক ও নিন্দন
Leave a Reply