1. mh01610093622@gmail.com : dainikdakshineroporadh :
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে জার্মান ডিফেন্স অ্যাটাশের সৌজন্য সাক্ষাৎ মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৩১ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। শাহজালাল বিমানবন্দর অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে সিএমএইচে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আমতলীর চুনাখালী গ্রামে নৌকা তৈরি করছেন কারিগররা,বছরে কোটি টাকার নৌকা বিক্রি। আমতলীতে লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা কাঠের পুল। ভোলা জেলা পুলিশের সেপ্টেম্বর-২০২৫ মাসের অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের ওপর হামলা,স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মেহেদী হাসান দল থেকে বহিষ্কার অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা — হালুয়াঘাটে নতুন সার্কেল এএসপি হিসেবে যোগ দিলেন মোঃ মিজানুর রহমান Under the Leadership of Labor Party Convenor Alhaj Jamal Uddin (Choket), a Strong Organizational Structure Begins জমি জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কড়া অবস্থান
সংবাদ শিরোনাম:
বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে জার্মান ডিফেন্স অ্যাটাশের সৌজন্য সাক্ষাৎ মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৩১ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। শাহজালাল বিমানবন্দর অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে সিএমএইচে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আমতলীর চুনাখালী গ্রামে নৌকা তৈরি করছেন কারিগররা,বছরে কোটি টাকার নৌকা বিক্রি। আমতলীতে লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা কাঠের পুল। ভোলা জেলা পুলিশের সেপ্টেম্বর-২০২৫ মাসের অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের ওপর হামলা,স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মেহেদী হাসান দল থেকে বহিষ্কার অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা — হালুয়াঘাটে নতুন সার্কেল এএসপি হিসেবে যোগ দিলেন মোঃ মিজানুর রহমান Under the Leadership of Labor Party Convenor Alhaj Jamal Uddin (Choket), a Strong Organizational Structure Begins জমি জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কড়া অবস্থান

ভোলার বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুর রউফের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
  • ৪৭ বার ভিউ

ভোলা জেলা প্রতিনিধি:
তিনিধিদ্বীঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৪ নং কাচিয়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুর রউফ’র ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১২ মার্চ। ১৯৪৪ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি নিজ গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আব্দুল হাই, মাতা শামর্থ ভানু।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও পারিবারিক সুত্র থেকে জানাযায়: তারুণ্যে পদার্পণ করেই তিনি পূর্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১ম ইস্টবেংগল রেজিমেন্টে যোগ দেন। অকুতোভয় এ সাহসী সৈনিক তাঁর কর্মজীবনে নানা প্রতিকুলতার মাঝেও রেজিমেন্টের বিভিন্ন ইভেন্টে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। এরমধ্যে, ২৯ বার হেলিকপ্টার হতে জাম্প ও দীর্ঘ দৌড়ে শীর্ষ স্থান অর্জন উল্লেখযোগ্য। কর্মজীবনে তিনি পাকিস্তান, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ার, করাচি এবং দেশের বিভিন্নস্থানে দক্ষতা ও আনুগত্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি যশোর সেনানিবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিদ্রোহ করেন এবং, মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে কে ফোর্সের অধীন যশোর অঞ্চলে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ বিজয়ের শেষদিকে সাথী যোদ্ধাদের বাঁচাতে গিয়ে ডান হাতে পাঁচটি গুলিবিদ্ধ হন। এসময় শত্রু পক্ষের অনেকেই ঘটনাস্থলে মারা যান। অতঃপর বহু প্রতিকুল পথ পেরিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। তিনিই প্রথম ভোলা জেলার মুক্তিযোদ্ধা ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি কর্ণেল এমএজি ওসমানীর সান্নিধ্য পান।
এ প্রসংগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গাজী আব্দুর রউফের সাথী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম হাওলাদার জানান: “১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ সকাল ৮ টার সময় যশোর ক্যান্টম্যান্টের ১ম ইস্ট বেংগল রেজিমেন্টের উপর তিনদিক থেকে পাকহানাদার বাহিনী (নাইন ভেলুস) হামলা চালায়। সেই যুদ্ধে নায়েক গাজী আব্দুর রউফ নিজের জীবনকে বিপন্ন জেনেও এমএমজি (মিডিয়াম মেশিন গান) দিয়ে হানাদার বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।এসময় পাকবাহিনীর অনেকে হতাহত হন। সেদিন, রউফ সাহেব এগিয়ে এসে যে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন, তা আমরা কোনোদিন ভুলবো না।”
একজন রাষ্ট্র স্বীকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মু্ক্তিযুদ্ধের ওয়েবসাইটের লাল মুক্তিবার্তায় ক্রমিক নং ০৬০৪০৬০০০৩৮/২০০১, বেসামরিক গেজেট ৩৩৫/১৭এপ্রিল২০০৫, সামরিক গেজেট সেনা ৩২১২ নথিতে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুর রউফ ২০১৭ সালের ১২ মার্চ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে ভোলার নিজ বাড়িতে সেনাবাহিনীর গার্ড অব রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন তৌহিদের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। মরহুমের প্রথম জানাজা সামরিক হাসপাতালের মসজিদ প্রাংগণে এবং দ্বিতীয় জানাজা নিজ এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর জানাজায় যশোর ক্যান্টমেন্টের সেনাবাহিনীর একটি টিম, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, এবং স্থানীয় সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী আছিয়া বেগম, ৫ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে যান। তাঁর বড় পুত্র সাংবাদিক ও লেখক ডা. গাজী মো. তাহেরুল আলম(লিটন) , ছোট সন্তান গাজী মো. হাসান ও কন্যা রূপজান বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক, গাজী মো. হোসেন অব. সেনা সৈনিক, গাজী মোক্তাদির ও গাজী মো. রানা সম্মানজনক পেশায় কর্মরত।
দেশ ও জাতির কৃতি সন্তান এ বীর সেনানীর মৃত্যুতে নিজ এলাকার সামাজিক ও আদর্শিক উন্নয়নকর্মে তাঁর শুন্যতা আজীবন থাকবে। যতোদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা বহমান; যতোদিন মুক্তবাংলায় স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা উড়বে, ততোদিন দ্বীপজেলা ভোলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গাজী আব্দুর রউফের নাম অম্লাণ হয়ে থাকবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com