
বিশেষ প্রতিনিধি :
আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত কাজী ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে একাধিক জালিয়াতি, প্রতারণা ও ভূয়া সাংবাদিকতার অভিযোগ উঠেছে।ঢাকা প্রেস ক্লাবের সদস্য না হয়েও তিনি প্রেস ক্লাবের নাম ব্যবহার করে নানা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর সাপ্তাহিক বর্তমান জনজীবনসহ একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় কাজী ফরিদের অনিয়ম ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় সে সময় তার বিরুদ্ধে কোনো
প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের পর
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র গ্রেফতারের পর কিছুদিন
আত্মগোপনে ছিলেন কাজী ফরিদ। পরে পুনরায় প্রকাশ্যে এসে তিনি কিছু
আওয়ামীপন্থী ভূয়া সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে কথিতভাবে “আওয়ামী লীগকে
পুনঃপ্রতিষ্ঠা” করার নামে কার্ড বাণিজ্য ও পকেট কমিটি তৈরিতে লিপ্ত হন
বলে অভিযোগ রয়েছে।স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীরা জানান, কাজী ফরিদ ও তার সহযোগীরা ভুয়া আইডি কার্ড ও জাল সনদ তৈরি করে সরকারি অফিসগুলোতে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে প্রতারণা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি তারা চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন। এসব ঘটনায় দৈনিক ভোরের
কাগজ, দৈনিক অন্যদিগন্ত, দৈনিক জনতা, দৈনিক স্বাধীন সংবাদসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে “ভুয়া সাংবাদিক ও প্রতারক” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বন্দর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের হয় ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে, মামলা নং–৩৯, ধারা–৪২০/৩৮৫/৩৮৬ অনুসারে।ঢাকা জেলা সমাজসেবা অফিস
থেকে জানা গেছে, কাজী ফরিদ আহমেদের নামে ঢাকা প্রেস ক্লাবের কোনো সদস্যপদ নেই। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তিনি কীভাবে “ঢাকা প্রেস ক্লাব” নাম ব্যবহার করে মানিকগঞ্জে সাইনবোর্ড স্থাপন করছেন এবং সাংবাদিক পরিচয়ে আইডি কার্ড বিতরণ
করছেন?সাংবাদিক মহল মনে করে, একজন অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যক্তি কীভাবে প্রেস ক্লাবের নাম ব্যবহার করে পকেট কমিটি গঠন করছেন, তা প্রশাসনের তদন্ত করা জরুরি। তারা অবিলম্বে কাজী ফরিদ আহমেদের কর্মকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply