
অনিকুল ইসলাম উজ্জ্বল
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন উর্মি নামে এক তরুণী। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার দশমিনা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের খাঁন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বড়গোপালদী গ্রামের জাফর প্যাদার কলেজপড়ুয়া মেয়ে উর্মির সঙ্গে একই উপজেলার দশমিনা ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের মো. কাশেম খাঁনের ছেলে রিয়াদ হোসেনের চলতি বছরের ৬ অক্টোবর উভয় পরিবারকে না জানিয়ে মোকাম পটুয়াখালী বিজ্ঞ নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তারা স্বামী–স্ত্রী হিসেবে কলাপাড়া, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন। তবে বিষয়টি দুই পরিবারে জানাজানি হলে রিয়াদ উর্মির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
গত ৩ নভেম্বর সকালে উর্মি রিয়াদের বাড়িতে এসে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানান। রিয়াদের পরিবার বিষয়টি উর্মির পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানিয়ে তাকে পাঠিয়ে দেয়। পরে তারা বিয়ে মেনে নেবে না বলে উর্মির পরিবারকে জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উর্মি মঙ্গলবার দুপুরে রিয়াদের বাড়িতে গিয়ে তার স্বীকৃতি দাবিতে বসতঘরে অবস্থান নেন। এর পর থেকে রিয়াদ মোবাইল ফোন বন্ধ রাখছেন।
উর্মি জানান, ‘রিয়াদের সঙ্গে আমার ৭-৮ মাসের প্রেমের সম্পর্ক। গত মাসে কলাপাড়া ঘুরতে যাওয়ার সময় সম্পর্ক ছাড়া যেতে না চাইলে আমরা ৬ অক্টোবর নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। এরপর কলাপাড়া ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থান ঘুরেছি এবং রাতে বিভিন্ন হোটেলে থেকেছি। পরিচয় নিশ্চিত করতে আমরা নোটারির কাগজ দেখিয়েছি। এখন রিয়াদ আমাকে অসম্মান করে দূরে সরে গেছে। তাই স্বামীর স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাব না। স্বীকৃতি না পেলে এখান থেকে শুধু আমার লাশ যাবে।’
রিয়াদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে রিয়াদের বাবা মো. কাশেম খাঁন বলেন, ‘আমার ছেলে যদি বিয়ে করে থাকে, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। উর্মি বিয়ের কাগজ দেখিয়েছে। আমার ছেলে আমার সঙ্গে থাকে না, তাই বিষয়টা সে-ই বুঝবে।’
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply