মেহেদী হাসান হৃদয়,,
চরফ্যাশন উপজেলার হাজীগঞ্জ ইউনিয়নের অন্যতম সুপ্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজ’-এর প্রধান শিক্ষক অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন স্যারের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক কিছু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল।
জানা গেছে, সম্প্রতি কিছু ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে এবং স্থানীয় মহলে অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন স্যারের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। বিষয়টি কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ শিক্ষানুরাগী মহলের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, বারজন উচ্চশিক্ষিত সন্তানের অভিভাবক এবং ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন-এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সাংবাদিক বাহাদুর চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন,
“আমরা অত্যন্ত মর্মাহত ও বিস্মিত। অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন স্যার শুধু একজন শিক্ষক নন, বরং একজন মানবিক, বিচক্ষণ ও আদর্শবান শিক্ষাবিদ, যাঁর হাতে গড়া শিক্ষার্থীরা আজ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর মতো একজন সম্মানিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো নিন্দনীয় ও অশোভন।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়,
“যাঁরা অপপ্রচারে লিপ্ত, তাঁদের অতীত আমাদের অজানা নয়। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন ও আচরণই এখন এই হীন কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুল ধরে সমালোচনা করা এক বিষয়, কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপমানজনক প্রচার চালানো সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং সমাজবিরোধী।”
অভিভাবকরা আরও মন্তব্য করেন,
“অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন স্যারের অবদান হাজারো শিক্ষার্থীর জীবনে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে। তিনি কেবল পাঠদানই করেননি, শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পথও দেখিয়েছেন। তাঁর মতো একজন শিক্ষাবিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসলে শিক্ষাব্যবস্থাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চলছে।”
বিবৃতির শেষাংশে অভিভাবকরা বলেন,
“আমরা আহ্বান জানাই, অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন স্যারের বিরুদ্ধে যেকোনো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। অন্যথায়, তাঁর অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শিক্ষার্থী সম্মান রক্ষায় সোচ্চার হবে এবং প্রয়োজনবোধে উপযুক্ত জবাব দিতেও পিছপা হবে না।”
এই বিবৃতির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়—সমাজে প্রকৃত শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন স্যারের মতো শিক্ষকের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তাঁর মর্যাদা রক্ষায় সচেতন মহল এখন কতটা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
Leave a Reply