মোঃ অনিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।
বরগুনার তালতলী উপজেলায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পেটে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার তালতলী ইসলামী হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ছকিনা এলাকার মো. হৃদয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সীমা আক্তার প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে চিকিৎসক ডা. নুসরাত জাহান তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন। দীর্ঘ সময় পর নবজাতককে স্বজনদের কাছে দেওয়া হলে শিশুর পেটে কাটা চিহ্ন দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরেই নবজাতকটি মারা যায়।
প্রসূতির মা রেবা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘সিজারের পর নাতিকে কাপড়ে জড়িয়ে আমার হাতে দেওয়া হয়। তখন কাপড়ে রক্ত দেখতে পাই। কাপড় খুলে দেখি পেটে ছুরির আঘাত। এ নিয়ে ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি নার্সসহ ক্লিনিক থেকে দ্রুত চলে যান।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে নবজাতকের পেটে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনো লিখিত অভিযোগ মেলেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply