
বাহাদুর চৌধুরী :
খুলনার আড়ংঘাটা উপজেলার ১২ নম্বর রংপুর ইউনিয়নে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুজন বাহিনীর হুমকিতে এক সাংবাদিক ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, তার ভাই ও ভগ্নিপতিকে মারধর এবং প্রেস ক্লাবে হামলা চালিয়েছে সুজন সরকার, দিপু সরকার, সবুজ শেখসহ একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গতকাল বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে সাংবাদিকটি আড়ংঘাটা প্রেস ক্লাবের ভেতরে কাজ করছিলেন। এ সময় সুজন বাহিনীর ৭-৮ জন সদস্য প্রেস ক্লাবের দরজায় লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। সাংবাদিক বাইরে এসে প্রতিবাদ জানালে তারা তাকে গালিগালাজ করে বলেন:তুই বড় সাংবাদিক হয়ে গেছিস? আগামীকাল মামলা তুলে নিবি, না হলে মহিলা দিয়ে তোর নামে মামলা করাবো। তোর নামে ৩০২ ধারায় মামলা দেব। তোকে শেষ করে ফেলবো।”
এছাড়া সন্ত্রাসী সুজন আরও বলেন:
তেলিগাতীর আরিফ মাডার মামলায় আমি খালাস গেছি। আমাদের কিছুই হবে না। মামলা হলে কোর্টে যাবো, জামিন নিয়ে বের হয়ে আসবো।”
পরিবারের সদস্যরাও সুজন বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। সাংবাদিকের ছোট ভাই মোঃ সাদ্দাম হোসেনকে লাঞ্ছিত করা হয়। ভগ্নিপতি মোঃ বাচ্চু মল্লিককে শলুয়া বাজারে চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় মারধর ও অপমান করা হয়।
সাংবাদিক ভুক্তভোগী আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শেখ খায়রুল বাশারকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। একইসঙ্গে খুলনায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পেও লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
বর্তমানে সাংবাদিক ও তার পরিবার চরম আতঙ্কে আছেন। তিনি বলেন:
“আমি এখন পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। যেকোনো মুহূর্তে বড় কিছু ঘটে যেতে পারে।”
উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা প্রেস ক্লাবসহ জাতীয় ও স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলো। সাংবাদিক নেতারা বলেন:
“একজন সাংবাদিক এবং তার পরিবারের উপর এমন সন্ত্রাসী হামলা ও হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য চরম হুমকি। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।”
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, দ্রুত এই সন্ত্রাসী চক্রকে গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাংবাদিক ও নিরীহ পরিবারকে ভয় দেখানোর সাহস না পায়।
Leave a Reply