
সিফাত হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়া থেকে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরা পাগলার মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় বাউল সম্রাট লালন শাহের আখড়াবাড়িতে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় লালন একাডেমি প্রাঙ্গণ ও মাজার এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। দর্শনার্থীদের প্রবেশপথে তল্লাশি চালানো হচ্ছে এবং পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন,সম্প্রতি নুরা পাগলার মাজারে হামলার ঘটনায় সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা হয়েছে। সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রতিরোধ ও সাধু-ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে লালন শাহের মাজার এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।এদিকে মাজার কমিটি ও স্থানীয় বাউল সাধকরা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, লালন শাহের মাজার কেবল কুষ্টিয়া নয়,বরং গোটা বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাউল সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। তাই এর নিরাপত্তা সবার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান,সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে জেলা জুড়ে পুলিশি টহল ও তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে লালন শাহের আখড়াবাড়ির নিরাপত্তার ওপর। ইতোমধ্যে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আখড়াবাড়ির খাদেমরা বলেন,বিভিন্ন মাজরে হামলার ঘটনা ঘটছে,আমরা চাই না লালন শাহের মাজারে এ ধরনের ঘটনা ঘটুক। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকারের কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি। দায়িত্বে থাকা পুলিশের এএসআই জাকির হোসেন জানান,সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পালাক্রমে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। উল্লেখ্য, প্রতিবছর লালন শাহের দুইটি ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে মাজার এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও সাধারণ সময়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
Leave a Reply