মোঃ ইকরাম
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা বাস্তবতার বেড়াজালে ঘুরপাক খায়। তারা চাইলেই হাসতে পারে না, কাঁদতে পারে না। তাদের কে হাসতে হয় চিন্তা করে, কাঁদতেও হয় চিন্তা করে। বুকের ভেতর কান্না আর অনুভুতির পাহাড় বয়ে বেড়াতে হয়।
পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তানটিকে মা-বাবা, স্ত্রী, বোনের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য নিজের সাধ আহ্লাদকে দিতে হয় জলাঞ্জলী।
সমাজের এক বিরাট অংশ জুড়ে আছে মধ্যবিত্ত শ্রেণী। শহরে জীবনের চাপ, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সামাজিক প্রত্যাশার চাপ – এই সবকিছু মিলিয়ে তৈরি হয় মধ্যবিত্ত ছেলেদের জীবনে এক অদ্ভুত সংকট।সুন্দর চেহারা দিয়ে মধ্যবিত্ত ছেলেরা তাদের অভাব দূর করতে পারে না। সুন্দর ক্যারিয়ার লাগে, তাদের অভাব গুছাতে।বাস্তবে জীবনে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ছেলেদের জীবন খুবই কষ্টের, এ জীবনের পুরোটাই সংগ্রামের।একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের জীবন অনেকগুলো মানুষের হয়ে সংগ্রাম করে! তবুও তাঁরা জীবনবিমুখ হয় না।মধ্যবিত্ত ছেলেদের চোখের চাহনিতে কত স্বপ্ন, কত আশা নীরব কষ্টের সাথে ঝরে যায়।সমাজের প্রত্যাশা ভালো চাকরি, বিয়ে, সন্তান – এই সবকিছুতেই সফলতা দেখাতে হয় মধ্যবিত্ত ছেলেদের।মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের, প্রেম ভালোবাসা, চাহিদা, স্বপ্ন, বন্ধু, বান্ধব থাকতে নেই।পিতামাতার স্বপ্ন পূরণের চাপে মধ্যবিত্ত ছেলেরা তাদের স্বপ্নকে কবর দিতে শিখে যায়।মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্ট শিখাতে নেই। কারণ কষ্টের মধ্যেই তাদের বেড়ে উঠা।অন্যদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার, বিলাসবহুল জীবনযাপনের প্রবণতা মধ্যবিত্ত ছেলেদের থাকে না।উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন, বাস্তবতায় ট্রেনের টিকিট কেনার হিসাব নিয়ে চলতে হয় মধ্যবিত্ত ছেলেদের।মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেরা অভিনয়ে পারদর্শী। মধ্যবিত্ত ছেলেরা জানে কিভাবে বুকে কষ্ট নিয়ে হাসতে হয়।একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে বলে, কত স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে মধ্যবিত্ত ছেলেদের।
সবশেষে আলহামদুলিল্লাহ বালো আছি।
Leave a Reply