বাহাদুর চৌধুরী :
গাজীপুর জেলা কালিয়াকৈর উপজেলার মাদ্রাসার ছাত্রী আশা মনি কে অপহরণ করে টানা তিনদিন ধরে ধর্ষণ করেছে জয় কুমার দাস ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা। ১০-১১ বছরের ধর্ষিতা মেয়ের কান্নায় ভারী হয়ে আসছে দুনিয়া অথচ বিষয়টি নিয়ে সবাই কেন জানি চুপ হয়ে রইলেন।
নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদার স্বার্থে তার ছবি -পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। তবে এ ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছে স্থানীয় মানুষজনকে। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মুখ খুলেছেন শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন জামাল।
তিনি বলেন,
“মিডিয়া কথা না বলুক, আমরা বলবো। কারণ এই মেয়েটি আমাদের বোন। নারীবাদীরা চুপ থাকুক, রাজনীতিকরা নীরব থাকুক, কিন্তু আমরা যারা সাধারণ মানুষ, আমাদের দায়িত্ব—সত্যকে তুলে ধরা, প্রতিবাদ জানানো। এই মেয়েটা আমাদের ঘরের ইজ্জত, আমাদের সমাজের আত্মা।”
বাংলাদেশে প্রতিদিন কোনো না কোনো নারী বা শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব ঘটনা চুপিসারে চাপা পড়ে যায়। কখনো সামাজিক লজ্জা, কখনো ভয়, কখনো আবার বিচারহীনতার সংস্কৃতি এসব ঘটনা আড়ালে নিয়ে যায়।
কালিশাকৈর উপজেলার মাদ্রাসার ঘটনার ক্ষেত্রেও পরিবার নিরাপত্তার কারণে মুখ খুলতে চায় না। কিন্তু আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন জামাল বলেন—
“আমরা যদি এখনই সোচ্চার না হই, তাহলে আগামী দিনের প্রতিটি খবরেই থাকবে আমাদের মা-বোনদের কান্না। আজ যেটা খবর, কাল সেটা হতে পারে আমাদের নিজের পরিবারের ঘটনা।”
এই ঘটনার বিষয়ে অনেকেই মুখ বন্ধ করে আছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তেমন সাড়া নেই। কিন্তু এই চুপ করে থাকাটাই পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।
শ্রমিক নেতা জামাল উদ্দিন বলেন,
এই দেশে মেয়েরা যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে দেশের কোনো উন্নয়নই টিকবে না। উন্নয়নের মূলে থাকা উচিত নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার ও মানবিকতা।”
নারী নিরাপত্তা নিয়ে জাতির কাছে প্রশ্ন
ধর্ষণ শুধু একটি মেয়েকে বিপন্ন করে না, এটি পুরো সমাজের বিবেককে আঘাত করে। যদি রাষ্ট্র, সমাজ, প্রশাসন এবং মিডিয়া সবাই মিলে চুপ থাকে, তবে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
ভোলা জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অসহায় দরিদ্র মানুষের বন্ধু শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন জামাল প্রশ্ন রাখেন—
“এই সমাজে মেয়েরা যদি স্বাধীনভাবে চলতে না পারে, সত্য বললে যদি নির্যাতিত হতে হয়, তাহলে কীসের গণতন্ত্র, কীসের মানবতা?”
শ্রমিক নেতা জামাল উদ্দিন জামালের ভাষায়,
একটি জাতি তখনই সভ্য, যখন নারীর সম্মান নিরাপদ। আজ কাপাসিয়ায় যা ঘটেছে, তা গোটা জাতিকে নাড়া দেওয়ার মতো ঘটনা। এই মেয়েটির পরিচয় না জানলেও, আমরা জানি সে আমাদেরই মেয়ে। তার প্রতি ন্যায়বিচারই হবে আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।”
📢 এই প্রতিবেদনটি ভোলা সদর উপজেলা শ্রমিক পার্টি নেতা আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন জামালের পক্ষ থেকে প্রচারিত।
Leave a Reply