মো. নাছির উদ্দীন
দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক॥
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥
——-কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন ও নববর্ষকে স্বাগত জানাতে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে দিঘীনালা উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি দিঘীনালা উপজেলা পরিষদ থেকে হলুদ চত্বরে ঘুরে দীঘিনালা উপজেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয় এর পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রায় দিঘীনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.জাকারিয়া,অধ্যক্ষ তরুণ কান্তি চাকমা, নির্বাহী প্রকৌশলী, মো,ফজলুল হক , বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম এর দিঘীনালা উপজেলা সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ জামাত ইসলাম, দীঘিনালা উপজেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্কাস (মাস্টার)আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং সাংবাদিকবৃন্দগণ ।
উল্লেখ্য, কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মুগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তাঁর সিংহাসন আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)।’ প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘ফসলি সন’। প্রথমে এটিই প্রচলিত ছিল, পরে এর পরিচিতি দাঁড়ায় বঙ্গাব্দ নামে, যা আজও কার্যকর রয়েছে। এই পহেলা বৈশাখ দেশের সবচেয়ে বর্ণিল উৎসবগুলোর একটি, যেখানে বাঙালি জাতি পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে বরণ করে নতুন বছরকে। জাতির ঐক্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতীক এই উৎসব ধর্ম, গোত্র, শ্রেণি বা মত নির্বিশেষে সবাই উদযাপন করে।
Leave a Reply