
এম মনিরুল ইসলাম শ্যামনগর।
দেশের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন যার মোট আয়তনের তিনের দুই অংশেরও বেশি বাংলাদেশের সীমারেখায় অবস্থিত। বিগত ৫ ই আগস্ট এর পর হতে আস্তে আস্তে আবারো সুন্দরবনের গড়ে উঠেছে শক্তিশালী জলদস্যু বা ডাকাত দল।
অনুসন্ধানে এমনই তথ্য ওঠে এসেছে,সাতক্ষীরা রেঞ্জ অভ্যন্তর তথা উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর শতকরা ৮০ভাগ মানুষ সুন্দরবন নির্ভরশীল।বর্তমানে সুন্দরবনে চলছে ডাকাতদের অপহরণ ও মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায়। গোপন সূত্রে জানা যায়,সাধারণ জেলে বাওয়ালি ছাড়াও নামে মাত্র কিছু কোম্পানির অধীনে জেলেরা,সুন্দরবন ও সংরক্ষিত অভয়ারণ্য এলাকায়, চুক্তিভিত্তিক মাছ কাঁকড়া সংগ্রহ করে থাকে।আট থেকে দশটি সশস্ত্র ডাকাত দল প্রতিনিয়ত জেলে বাওয়ালিদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে। এর মধ্যে রয়েছে বিগত দিনের স্যালেন্ডার করা আলিম বাইন বাহিনী কাজল মুন্না বাহিনী দুলাভাই বাহিনী সহ অসংখ্য ছোট বড় ডাকাত দল। তারা বলে, সুন্দরবনে মাছ কাকড়া ধরতে হলে সেফটি কার্ড করতে হবে।তিন মাসের টাকা একবারে দিতে হবে।নগদ হলে ৭০ হাজার নতুবা ৯০ হাজার টাকা।এতগুলো টাকা একজন নিরীহ জেলের পক্ষে কোনভাবেই সংগ্রহ করা সম্ভব নয়।এখানেই সুযোগ নেয়,কোম্পানি নামধারী দালাল গুলো।কিছু কতিপয় অসাধু বন কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জেলে বাওয়ালিরা জানান।ভয়ে জেলে বাওয়ালিরা সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেও ভয় কাটছে না।বিগত দিনে ৩২ টি বাহিনী সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমায় আত্মসমর্পণ করেছিল।তাদের অনেকেই আবার ফিরে এসেছে দস্যুতায়। সরকার চাইলে সবকিছুই পরিবর্তন হতে পারে,যৌথ বাহিনী তথা প্রশাসনের কঠিন পদক্ষেপ,সশস্ত্র অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে,সুন্দরবনে জেলে বাওয়ালিদের ওপর জুলুম ও নির্যাতন ঠেকাতে,এমন মহতী উদ্যোগ ভীষণ প্রয়োজন, মন্তব্য করছেন উপজেলার সুধী সমাজ।
প্রকাশক ও সম্পাদক : বাহাদুর চৌধুরী মোবাইল: ০১৩২৩০০২৩৭৭
সহসম্পাদক : মেহেদী হাসান হৃদয় মোবাইল:০১৬১০০৯৩৬২২
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যলয়ঃ চৌধুরী কমপ্লেক্স, চেয়ারম্যান বাজার, চরফ্যাশন, ভোলা ।
মোবাইলঃ০১৩২৩০০২৩৭৭ ইমেইলঃ mh01610093622@gmail.com T.L.No:183 T.I.N:534926870539